নিজে আলোকিত হই, নতুনকে আলোকিত করি

নিজে আলোকিত হই, নতুনকে আলোকিত করি
আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন : সকল মানুষ জন্মগতভাবেই কবি, কারণ তার মাতৃভাষা রয়েছে, চর্চায় থাকেন মাতৃভাষা শিখতে, ছড়া, গল্প, কবিতা, মায়ের ভাষায় পেয়ে থাকেন। মনের অজান্তে শিশুরা বলতে শেখে, চলতে শেখে হামাগুড়ি দেয়, দৌড়োতে চেষ্টা করে, একদিন মানুষ সফলতার মুখ দেখে, এভাবেই মানুষ পুরোটা জীবনে এগিয়ে যাবার গল্প লিখে, লেখা হয় খেরো খাতায়।
কিছু অশিক্ষিত, কমমেধা সম্পন্ন, অসামাজিক, ধান্দাবাজ, লেখকের আলাপচারিতা নতুনের পদচারনা বিঘ্নিত হচ্ছে, সর্বত্র, যা খুবই চিন্তার ও লজ্জার বিষয়।
ভালো হতে যেমন, পায়সা লাগে না !
তেমনি মানুষকে সম্মান দিতেও, পয়সার প্রয়োজন হয় না !
প্রয়োজন সহায়ক পরিবেশ তৈরীর এক সুনিপুণ মেলবন্ধন!
তাইতো অগ্রসর কবি লিখেছেন-
"তোরা পারবি নে, কেউ ফুল ফোটাতে, যতই তোরা পাপড়ি টানিস, আঘাত করিস বোটাতে, তোরা পারবি নে কেউ ফুল ফোটাতে"
কারো কারো লেখার মধ্যে, গতানুগতিক চিন্তার আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতা বিদ্যমান, লেখকদের ভালো হওয়ার পথ রয়েছে, ঐসব বুদ্ধি প্রতিবন্ধি লেখকরা তাদের, লেখা পড়ে নিজের ভুল সংশোধন করতে হয়তো পাবে, নতুবা বুঝতে হবে তাদের নিজেদের অন্তরের গেলাস ভরে গেছে। উপচে পড়ছে বিবেচনার শুদ্ধ জল কণা!
আর সেজন্যই আরেক শ্রদ্ধেয় কবি তাদের জন্য লিখেছে-
"অন্ধকারে জ্বালালে বাতি
হয়তো বাতি জ্বলবে না,
তাই বলে তো,
বসে থাকা চলবে না"ছোট হোক বড় হোক
ভুল হোক শুদ্ধ হোক
লেখা চালাতেই হবে সকলকেলেখতে লেখতে লেখক
গাইতে গাইতে গায়ক!অযোগ্যতাই যেখানে যোগ্যতা
সেখানে ঐসব নিতীকথা শুলের মতো!
শেষে বলি
"একটি আলোর কণা পেলে
লক্ষ প্রদীপ জ্বলে,
একটি মানুষ মানুষ হলে
বিশ্ব জগৎ টলে"
সমালোচনার হিংসাত্মক মানুষিকতা পরিহার করে, আসুন সকলকে আলোকিত করি, নিজেও আলোকিত হই !
পাঠকের মন্তব্য