ভোটের আগে হিসেব নিন; কাকে দিবেন ভোট ?

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন
মাইদুল ইসলাম : আসছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। জনগণের জানা দরকার।
একটি ইউনিয়ন পরিষদ কি পাচ্ছে আর জনগণকে কি দিচ্ছে ?
ভোট দিবেন কাকে ?
ভেবেছেন কি একবার ?
বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে সেবা আমাদের পাবার কথা তা কি আমরা পাচ্ছি ?
ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকারের মজবুত ও শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংকও বড় অংকের অনুদান প্রদান করে থাকে ইউনিয়ন পরিষদে।
আয়তন লোকসংখ্যা ও লোকেশন বিবেচনায় বিশ্ব ব্যাংকের এলজিএসপি-৩ এর আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে বৎসরে ২৫ লাখ থেকে ১কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য যে, এই টাকাগুলো কোন ঝুঁকি-ঝামেলা কিংবা উপরি দেয়া ছাড়াই সকল দলের চেয়ারম্যানদের ইউপিগুলোতে চলে আসে। ইট-ঢালাই, রাস্তা, কালভার্ট, বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ, প্রাচীর, বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আধুনিক মানের ড্রেসিং/ বাথরুম বানানো /এমন আরও হরেক রকম কাজে ব্যয় করা যায় এই টাকাগুলো। নরমাল হিসেব করলেও প্রতিজন চেয়ারম্যান শুধু বিশ্বব্যাংক থেকে ৫ বৎসরে পায় দেড় থেকে পাঁচ কোটি টাকা। যে টাকা দিয়ে অনায়াসে একটা ইউনিয়ন সুন্দরভাবে সাজানো সম্ভব।
তারপর আরও আছে যেমন-
কর্মসৃজন প্রকল্প থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা,
এডিবি ১২-১৪ লাখ টাকা,
কাবিটা ১০-১২ লাখ টাকা,
কাবিখা ১০-১২ লাখ টাকা ইত্যাদি।
বন্যার বাঁধ উন্নয়নে পিআইসি'র টাকা বাদেও আরো অসংখ্য বরাদ্দ আসে ইউনিয়ন পরিষদে। বিভিন্ন দুর্যোগ, মহামারীতে আসে বিশেষ বরাদ্দ নামে তাৎক্ষণিক খরচের টাকা। এটাও প্রকারভেদে আকারে হয় অনেক মোটা এবং তাজা। কিন্তু টাকাগুলো ব্যয় হয় কোথায় ?
একজন ইউপি চেয়ারম্যানের স্বদিচ্ছা আর মানুষের প্রতি ভালবাসা এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে তিনি নিজ ইউনিয়নের ভেতর পাড়া-গাঁয়ে প্রায় সকল কাঁচা-কাঁদা রাস্তা সংস্কার ব্যবস্থাসহ জন দুর্ভোগ লাঘবে ছোট ছোট সকল সমস্যা সমাধান সরকারী ফান্ড থেকে করে দিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
অথচ চেয়ারম্যানের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলে বরাদ্দ নেই, তাহলে সরকার প্রতি বছর ইউনিয়নে যে টাকাগুলো দেয় সেগুলো কোথায় যায় ? যদিও নামমাত্র কিছু কাজ দেখালেও বাকিটুকু আর খোজ পাওয়া যায় না।
কিন্তু বাস্তবতা কি ?
আমরা কি ইউপি থেকে সেই কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছি ? উত্তর আসবে না ।
আমরা সরকারকে দোষারোপ করি;
আসলে সরকার থেকে ইউনিয়ন পরিষদে কি পরিমাণ বরাদ্দ আসে তার খবর কি আমরা নিতে পারছি ?
আমরা কি আমাদের মনের মতো চেয়ারম্যান / মানে জনসেবক বানাতে আদৌ কি সক্ষম হচ্ছি ?
যদি সৎ যোগ্য জনবান্ধব চেয়ারম্যান বানাতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন আজ মডেল ইউনিয়নে পরিণত হত। বিষয়টি গ্রামের সকল সচেতন মানুষকে ভাবতে হবে।
পাঠকের মন্তব্য