জামাত-বিএনপির রাজনীতি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের : শেখ পরশ

 যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপি-জামাত একটা প্রতিপক্ষ, তারা এই দেশটাকে কখনোই চায় নাই এবং তাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত করা। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আপনারা সজাগ থাকবেন যেন ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে নিয়ে কোন রকম ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করতে না পারে। আজ ২১ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সমাজের পিছিয়ে পড়া ১০০০ মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-আজকের আয়োজন একটা বিশেষ কারণে, একটা বিশেষ ব্যক্তির জন্য। যে মানুষটি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদেরই এই মাটির সন্তান। এই মাটিকে যে ভালবেসেছিল, আপনাদেরকে যে ভালবেসেছিল সেই মানুষটির জন্মদিন, জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের প্রাণপ্রিয় সাংসদ জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি।

আমাদের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে এবং করোনা মহামারিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আয়োজন। তবে আজকের এই আয়োজন আমার কাছে ভিন্ন এক অনুভূতি মনে হচ্ছে। কারণ এই গোপালগঞ্জের মাটিতেই শুয়ে আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পবিত্র মাটিতেই তাঁর জন্ম, শৈশব-কৈশোর বেড়ে ওঠা। এই মাটিকে তিনি বড়ই ভালবাসতেন। এই মাটিকে ভালবেসে, এই অঞ্চলের মানুষকে ভালবেসেই তিনি ধাপে ধাপে সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা হয়েছেন। আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারা জীবন আপনাদের কথায় ভেবেছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা তিনি কখনোই ভাবেন নাই। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়েও গণমানুষের কাছে ফিরে গিয়েছেন। গণমানুষের অধিকার আদায় করা ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মূল লক্ষ্য। আজকের এই উপহার সামগ্রী কোন ত্রাণ নয় এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আর আপনাদের অধিকার। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগঠন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ধ্যান-ধারণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় যুবলীগ। যুবলীগ তার মানবিক কার্যক্রম চলমান রাখবে।

আপনারা জানেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ইশতেহার দিয়েছিলেন তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছেন। আজকে পটুয়াখালী পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও একটি মাইলফলক অর্জন করলো। সেটা হলো দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবারও প্রমাণ করলেন যে, তিনি যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা অবশ্যরই পালন করেন। সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি তার পিতার স্বপ্ন ধাপে ধাপে পূরণ করেই চলেছেন। আজকে তিনি শুধু বাংলাদেশেরই নেত্রী নয় তিনি আজ সারা বিশ্বের সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন। বাংলাদেশের মর্যাদা তিনি সারা বিশ্বে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ এখন আর নি¤œ আয়ের দেশ নয়, গরীব দেশও নয়, উন্নয়নশীল দেশ। আর কয়েকটি বছর তিনি কাজ করলে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

আজকে আপনাদের সবার হাতেই মোবাইল। আজ থেকে ১৩ বছর আগে কি ছিল বাংলাদেশ? ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, জনগণের হাতে হাতে মোবাইল কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু শেখ হাসিনা তা করে দেখিয়েছেন।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-যে মাটিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, সেই পবিত্র মাটিতেই শুয়ে আছেন তিনি। স্বাধীনতার বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় চালাতে চেয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে অসংখ্য অপপ্রচার আর মিথ্যাচার চালিয়েছিল তারা।

আপনারা লক্ষ্য করে দেখেন-যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করেছিল সেই জামাত-বিএনপি আজ কোথায়? এদেশের মানুষ তাদেরকে আজ ঘৃণা করে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। টুঙ্গিপাড়ার মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ভালবেসে ভোট দেয় বলেই তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। জামাত-বিএনপিচক্র আবার মাথাচারা দিয়ে উঠছে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা: খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, তাজ উদ্দিন আহমেদ, জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক রাসেল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, অর্থ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কুতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ মোঃ ফরিদ রায়হান, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাড. শেখ মোঃ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কুতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, নাজমুল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান খান শামীম, সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু, এ্যাড. কাজী মোঃ বসির উদ্দিন, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মোঃ ওলিদ হোমেন, এ্যাড. শেখ মোঃ তরিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম সাহাবুদ্দিন আযম, সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বি মোল্লা, খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ হাসিবুর রহমান রিজন সিকদার, এ এন এম ইমরুল হক, এ্যাড. মোঃ ইয়াসিন আরাফাত রামিম, মোঃ রিপন শেখ, এস এম আশরাফুল ইসলাম রতন, শেখ মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ ইজ্জল খান, মোঃ ফারহান আলম, মোঃ রেজাউল করিম, শেখ মারুফ হোসেন, শেখ মোঃ গিয়াস উদ্দিন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাসান আহমেদ কচি, সাধারণ সম্পাদক বি এম মাহমুদ হকসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।  

পাঠকের মন্তব্য