রঙ্গলালের রঙ্গরস; 'পিকে হালদার' নামের রহস্য উন্মোচন !

রঙ্গলালের রঙ্গরস
মিয়া মনসফ : রঙ্গলাল বেশ ক’দিন আগে ভারত গিয়েছিলেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ! শরীরটা ইদানিং খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা রঙ্গলালের। তাই একটু চেকআপ করতে ভারত যাওয়া। কোলকাতার হাসপাতালের পাশে মাঝারিমানের একটি হোটেলে সিঙ্গেল রুমে উঠেছে রঙ্গলাল। ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট পেতে আরো দু’দিন লাগবে। এই ফাঁকে রঙ্গলাল কোলকাতা দর্শনে বের হলো। রঙ্গলাল বাইনোকুলার নিয়ে বের হলো সেদিন সকালে। দূর দৃষ্টি ফেলে যেসব দর্শনীয় বস্তু দেখা যায়না রঙ্গলাল সেই সব বস্তু বাইনোকুলার দিয়ে দেখেন।
গলায় ঝুলানো বাইনোকুলার ও হাতে ক্যামেরা। আজ কোলকাতার কফি হাউস, আলিপুর চিড়িয়াখানা, দক্ষিণ কোলকাতার পাটুলিতে ভাসমান বাজার, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি দর্শনে যাবার তার খুব ইচ্ছা। প্রচন্ড গরম। দু একটি স্থান পরিদর্শন শেষে রঙ্গলাল হাঁপিয়ে উঠে।
রঙ্গলাল ঘুরতে ঘুরতে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসের সামনে এসে দাঁড়ায়। রাস্তার ধারে ফুটপাতে একটু জিরিয়ে নেয় রঙ্গলাল। যা গরম! গরমে হাসফাস করছে। কপালের ঘাম মুছতে মুছতে হঠাৎ চোখে পড়লো মাইক্রোবাস থেকে একজনকে ধরে নামাচ্ছে দু’জন ব্যক্তি। দূর থেকে ঠাহর করে বুঝতে পারছেনা কে লোকটা! গলায় ঝোলানো বাইনোকুলারটি চোখে লাগায়। লোকটাকে চেনার চেষ্টা করে।
ধ্যাৎ কোলকাতার কোন্ লোককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে হয়তো! তাতে আমার কি ? আমি কি লোকটাকে চিনি ! চেনার দরকারও কি আমার। রঙ্গলাল এসব ভাবতে ভাবতে চোখ থেকে বাইনোকুলার নামিয়ে ফেলে।প্রখর রোদ্রতাপে ঘাম ঝরছে শরীর থেকে। রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মোচে।
লোকটিকে দু’হাতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইডি অফিসের দিকে। রঙ্গলাল এবার লোকটার পরিচয় জানতে কৌতুহলী হয়ে উঠে! কেন এভাবে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ওরা! কাছে গিয়ে লোকটাকে চেনার চেষ্টাও করে। খুব ভিড় সাংবাদিকদের। ছবি তুলছে তো তুলছেই লোকটির। রীতিমতো প্রতিযোগিতা লেগে গেছে ফটো সাংবাদিকদের মধ্যে। একসময় ইডি অফিসের নীচ তলায় পৌঁছে যায় ওরা। লিফটে হুড়মুড় করে উঠে যায় ধৃত লোকটিকে নিয়ে। কিছুতেই লোকটির পরিচয় জানা গেলোনা। ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে রঙ্গলাল হোটেলের দিকে পা বাড়ালো।
দুপুরের লাঞ্চ শেষে একটু বিশ্রাম নিয়ে হোটেলের রিসিপশনের টিভির সামনে বসলেন রঙ্গলাল। রিসিপশনে লোকজন ঐ ধৃত লোকটিকে নিয়ে কানাঘুষা করছে। বলছে কী জঘন্য লোকরে বাবা! ব্যাংকের এত্তো টাকা চুরি করলো কিভাবে! কিভাবে তা সম্ভব! একজন বিদেশী এসে কিভাবে এই ভারতবর্ষে গেড়ে বসলো। সম্পত্তির পাহাড় করলো। ভারতের নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট করলো। নিজের নামে রেশন কার্ড, আধার কার্ড বানালো। একজন বলে উঠলো ভারত বর্ষের পুলিশের পেদানি খেলে টের পাবে। তখন ঠিকই ভিতরের সব বের করে দেবে !
টিভিতে সংবাদ শিরোনাম পড়ছে সংবাদপাঠক। বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড পি,কে হালদার কোলকাতায় ধরা পড়েছে। তবে তার নাম শিবশঙ্কর হালদার । পরে জানা গেলো এই শিবশঙ্কর হালদারই বাংলাদেশের প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার । রঙ্গলাল সংবাদ শুনে চক্ষু চড়াকগাছ। টিভি সংবাদে সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা ছবিটি আজ দুপুরে ইডি অফিসের সামনে রঙ্গলালের দেখা সেই দৃশ্যটি !
পি কে হাঃ নাম আগে থেকে জানা রঙ্গলালের। গত বছর পিকে হাঃ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়েছে। দুর্নীতিদমন কমিশন তদন্তে নামে পিকে হাঃয়ের।তার বেশ ক’জন সহযোগী ও বান্ধবীর খবর পায় কমিশন, যারা পিকে হালদার এর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। তারাও দুর্নীতির সাথে জড়িত। ইতিমধ্যে পিকে হাঃকে মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্টারপুলের মাধ্যমে পিকে হাঃকে খুঁজে পেতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত সরকার নড়েচড়ে বসে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এই আসামী ভারতেবর্ষে আত্মগোপন করতে পারে এই সন্দেহে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। বিভিন্ন সূত্র কাজে লাগিয়ে পিকে হাঃকে পেয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরের একটি বিলাসবহুল বাড়িতে। কয়েকজন সঙ্গীসহ গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ানট্ডে পিকে হালদার কে।
রঙ্গলাল টিভির সামনে ‘থ’ হয়ে বসে থাকে। উৎসুক লোকজনের কথা শোনে আর ভাবে, পিকে হালদার কি জিনিষ বাবা। ইতিমধ্যে রঙ্গলাল আরো জেনে ফেললো, পশ্চিমবঙ্গে পিকে হাঃ এর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি।৭/৮টি বিলাসবহুল বাড়ি, ব্যাংকে শতকোটি টাকার লেনদেন।তদন্ত শেষ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে আরো সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যাবে।
রঙ্গলাল এসব ভাবতে ভাবতে টিভি সেটের সামনে থেকে উঠে হোটেল কক্ষে যায়। আর ভাবে কাল সকালেই পিকে হাঃ এর খোঁজ খবর নিতে হবে। রহস্য বের করতে হবে পিকে হালদার কিভাবে বাংলাদেশ থেকে এতো সম্পদ নিয়ে এলো ভারতবর্ষে।
রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় যায় রঙ্গলাল। ঘুম আসেনা চোখে। শুধুভাবে কাল সকালে কোথায় পাওয়া যাবে পিকে হাঃকে। সে তো আসামী। পুলিশের হাতে ধৃত।তার ধারে কাছেও যাওয়া যাবেনা! রঙ্গলাল কৌশল আঁটে নানান রকম।
পরদিন সকাল হয়।তাড়াতাড়ি নাস্তা সেরে বের হয়ে যায় বাইনোকুলার গলায় ঝুলিয়ে। গন্তব্য আদালতপাড়া। প্রচন্ড রোদ্রতাপে রঙ্গলাল অস্থির। শরীরের ঘাম চুপসে পড়ছে। তবুও সে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে আদালতের সামনে।সাংবাদিকদের ঠেলাঠেলি।টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার স্ট্যান্ডের গুতোগুতি। এ’সবে ভারি বিরক্ত রঙ্গলাল !
দুপুর গড়িয়ে বিকেল। এখনো আদালত থেকে ইডি কর্মকর্তারা পিকে হালদার কে নিয়ে বেরুয়নি। প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সনরা অপেক্ষায়। কখন ইডির কর্মকর্তারা পিকে হাঃকে নিয়ে বের হবে! কিছুক্ষণ পর অপেক্ষার পালা শেষ হলো। ইডির কর্মকর্তাদের বেষ্টনীতে পিকে হাঃ। ঘিরে ধরার চেষ্টা সাংবাদিকদের। ইডির কর্মকর্তারা পিকেকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইডি অফিসের দিকে। রঙ্গলালও সাথে সাথে এগুয়। সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করে যাচ্ছে পিকে হাঃকে! কিন্তু পিকে হালঃ নির্বেকার ! কোন কথা নাই মুখে। রঙ্গলাল পিকে হাঃ এর শরীর ঘেঁষে হাটছে। সাংবাদিকদের গুতুয় সটকে পড়ে দূরে, আবার কাছে গিয়ে পিকে এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে।কিন্তু পিকে হাঃ রঙ্গলালের কথা শুনতে পায়না। রঙ্গলাল একটু খর্বাকৃতির। হইহুল্লুড়ের মধ্যে রঙ্গলালের কথা পিকে হালদার এর কান পর্যন্ত পৌঁছায়না। রঙ্গলালের টেনশন বাড়ে। এবার পিকে এর পায়ে খোঁচা দিল রঙ্গলাল। পিকে হাঃ মাথা নিচু করে তাকায় রঙ্গলালের দিকে।
স্মিত হেসে রঙ্গলাল পিকে হালদার কে উদ্দেশ্য করে বলে, কেমন আছো! আমি রঙ্গলাল। মায়ে আদর করে ডাকে ‘রঙ্গ’।
এইযে তোমার নাম প্রশান্ত কুমার। কিন্তু তোমার নাম পিকে হালদার নামে জানে সবাই।
যদিওবা তোমার গ্রামের লোকজন তোমার নাম নিয়ে ভিন্ন কথা বলে !
এবার রঙ্গলালের কথায় মুখ ফুটে কথা বের হয় পিকে’র !
রঙ্গলালের কাছে জানতে চায়, গ্রামের মানুষ আমার নাম নিয়ে কি বলে ?
ওসব জেনে লাভ নেই তোমার। শুনলে মন খারাপ করবে। এমনিতেই তোমার উপর দিয়ে ঝড় যাচ্ছে। গোদের উপর বিষ ফোড়া'। কাউকে কষ্ট দেয়া আমার নীতি বিরুদ্ধ। তবে সত্য উন্মোচন করা আমার দৈনন্দিন কাজ।
রঙ্গলাল এবার পিকে হাৎ এর কাছে জানতে চায়, ভারতবর্ষের ইন্টারোগেশন তোমার কেমন লাগছে! এবার রাগী চোখে রঙ্গলালের দিকে তাকায় পিকে !
আবারো পিকে হালদার কে উদ্দেশ্য করে বলে, ভারতবর্ষের পুলিশের ইন্টারোগেশন থেরাপী কি তোমাকে....
তা না হলে তুমি বাংলাদেশে ফিরতে চাও কেন ?
বাংলাদেশে ফিরতে তোমার ভয় করেনা! মানুষের সাথে প্রতারণা করে নিজের সম্পদ বানিয়েছো! বাংলাদেশের সহজ সরল মানুষগুলোকে তোমার প্রতারণার জালে জড়িয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতবর্ষে পালিয়ে এসেছো। তোমার প্রতারণায় শত শত মানুষ পথে বসেছে! ভারতবর্ষেও প্রতারণা করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছো। ভেবেছো তুমি পার পেয়ে যাবে!কখনো না! কথায় আছে না! পাপে বাপকেও ছাড়েনা! পারলে কি লুকিয়ে থাকতে? ধরা তোমাকে পড়তেই হলো পিকে।
আবার খোঁচা দিয়ে পিকে হালদারকে প্রশ্ন করে রঙ্গলাল। কেনো বাংলাদেশে ফিরতে চাও তুমি পিকে ?
এবার পিকে হাঃ উত্তর দিল; বাংলাদেশ আমার দেশ। তাই বাংলাদেশে ফিরতে চাই। তাতে তোমার কি সমস্যা ?
আমার তো কোন সমস্যাই নাই পিকে! বাংলাদেশে ফিরলে তো বেশ ভালই হবে। দেশের মানুষ জানতে পারবে তোমার প্রতারণার বিস্তারিত। জানতে পারবে তোমার সাথে কোন কোন রাঘব বোয়ালরা জড়িত ! তোমার অপরাধের শাস্তি কি হতে পারে তা তুমি জেনেও দেশে ফেরার কথা বলায়, আমি সন্দিহান তুমি আদৌ দেশে ফিরতে চাও কিনা! তবে দেশে ফিরিয়ে নিতেই হবে তোমাকে। যে অসহায় মানুষগুলোর সাথে প্রতারণা করেছো তাদের টাকা ফেরত পেতে হলে তোমাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। সর্বোচ্চ শাস্তিই তোমার প্রাপ্য প্রশান্ত কুমার হালদার(পিকে হালদার)
‘পিকে’ ‘রঙ্গ’ এর কথোপকথনের মধ্যে ইডি এর কর্মকর্তারা পিকে হালদারকে নিয়ে পৌঁছে গেছে ইডি অফিসের নীচতলায়। লিফটে উঠার অপেক্ষায় পিকে হালদার। লিফটে উঠার মুহূর্তে পিকে হালদার রঙ্গলালকে আঁড় চোখে তাকায়। লিফটে উঠে নিজেকে আড়াল করতে দেখে রঙ্গলাল হেসে হাত নাড়ে পিকে হালদারের উদ্দেশ্যে।
রঙ্গলাল উচ্চস্বরে বলতে থাকে, পিকে ! ঢাকায় তোমার তিন বান্ধবী তোমার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষীর অপেক্ষায়! আবার দেখা হবে পিকে!
পাঠক! পিকে হাঃ এর গ্রামের মানুষের কাছ থেকে তার বিষয়ে কী শুনেছে রঙ্গলাল, তা এবার শুনুন।
পিকে হালদার এর প্রতারণার প্রথম সংবাদ যখন আসে মিডিয়ায়, তখন রঙ্গলাল গিয়েছিল পিকে হাঃ এর গ্রামের বাড়ি। বাড়ির পাশের লোকজন ইতিমধ্যে জেনে গেছে পিকে হালদারের কুকীর্তির কথা। একটি চায়ের দোকানে টিভি সেটের সামনে জটলা দেখে রঙ্গলাল সেখানে দাড়ায়। পিকে হাঃ কে নিয়ে নানান কথা বলছেন লোকজন। সেই ছোটকাল থেকেই প্রশান্ত কুমারের হাতটানের অভ্যেস ছিল। তার এই প্রতারণার কাহিনী শুনে কেউ তেমন আশ্চর্য হননি। তারা বলছেন ছোট চোর থেকে এখন প্রশান্ত কুমার বড় চোর !
রঙ্গলালও তাদের সাথে কথায় সুর মিলিয়ে বলেন, ঠিক কইছেন আপনেরা, মানুষ ছোট থেইক্যা বড় অইবার চেষ্টা করে! পিকে হালদার চুরি বিদ্যায় নিজেকে পোক্ত করছে! সে তো চুরি কইরা বড় তো অইবই !
জটলার মধ্যে এক বয়স্ক লোক বলে উঠলেন, প্রশান্ত কুমার থেইক্যা পিকে কেমনে অইল এইবার শুনুন !
ভদ্রলোক প্রশান্ত কুমারের ছোটকালের এক চুরির ঘটনার কথা জানালেন উপস্থিত সবাইকে। একদিন রাইতে গেরামের এক বুড়ির বাড়িতে মুরগি চুরি করতে গেছিল প্রশান্ত কুমার। অই সময় বুড়ির বাড়িতে একটি শেয়ালও মুরগী খাইবার আইছিল।
মুরগী লইয়া পালাইয়া যাওনের সময় প্রশান্ত কুমারের পিছু নেয় শেয়ালও। প্রশান্ত কুমার দৌড়ায়। সমান তালে শেয়ালও। একসময় শেয়ালটি প্রশান্ত কুমারের পাছায় কামড় মাইরা দে’।
আর যায় কোথায় প্রশান্ত কুমার! চোরের উপর বাটপারি কি আর চলে! মোরগ ছেড়ে দিয়ে প্রশান্ত কুমার জান নিয়ে পালায়। মুরগী নিয়ে ধূর্ত শেয়াল ভোঁ দৌড় জঙ্গলের দিকে, নিজের নিরাপদ আশ্রয়ে। আর শেয়ালের হামলায় আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে প্রশান্ত কুমার । মধ্য রাতে শেয়াল- প্রশান্ত কুমারের মুরগী চুরির প্রতিযোগিতার সময় চেচামেচিতে গ্রামের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে। রান্তায় জড়ো হয়ে পুরো ঘটনা জানতে পারে প্রশান্ত কুমারের কাছে। সেই থেকে প্রশান্ত কুমার হালদারের নাম পরিবর্তন হয়ে গেলো রাতারাতি। এখন দেশের অতি পরিচিত একটি নাম পিকে হালদার!
লেখক : কলামিস্ট ও যুগ্ম সম্পাদক, মোহাম্মদী নিউজ এজেন্সী(এমএনএ)
মোবাইল : ০১৭১৮৭৯৭৩৯৬
পাঠকের মন্তব্য