পদ্মা বহুমুখী সেতু; বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে অর্থনীতিতে

পদ্মা বহুমুখী সেতু; বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে অর্থনীতিতে

পদ্মা বহুমুখী সেতু; বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে অর্থনীতিতে

পদ্মা বহুমুখী সেতু শুধু বাংলাদেশের দুই প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগের বাধাই দূর করবে না, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বারও উন্মোচন করছে ওপারের পণ্য আসবে রাজধানীসহ সারাদেশে। এপারের পণ্যও সহজেই পৌঁছাবে ওপারের ২২ জেলায়। বিশেষ করে, বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে কৃষি অর্থনীতিতে।

পদ্মাসেতু পার হওয়ার পরই সবচে কাছের জেলা। পাট ও পেয়াঁজ উৎপাদনে দেশের সেরা অবস্থানে রয়েছে এই জনপদ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট ১ লক্ষ ২৪ হাজার হেক্টর কৃষি আবাদি জমির মধ্যে মৌসুমের সময়ে পাটের চাষ হয় ৮৬ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। আর এই জেলার চাষীদের উৎপাদিত পাট ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের জুট মিল গুলোতে। তেমনি পেঁয়াজ, সবজি, পেঁয়াজ বীজ, ধানসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য জেলার চাহিদা শেষে অন্যত্র পাঠানো হয়। তবে বিপত্তি হতো সেখানেই। 

ফরিদপুরের পেঁয়াজ ও সবজি ঢাকায় পাঠানোর পথ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। অনেক সময় ফেরিঘাটে দিনের পর দিন পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকতো পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো। এতে ঢাকার পৌছানোর আগেই পচন শুরু হতো পেয়াজ ও সবজিসহ কৃষিপণ্যে। বাধ্য হয়েই আড়তে বা ফড়িয়াদের কাছে কম দামে ফসল বিক্রি করতে চাষিরা।

তবে সেই দুর্ভোগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কাল খুলে যাচ্ছে পদ্মা সেতু। দীর্ঘকাঙ্খিত এই সেতু চালুর ফলে জেলার পাট ও পেঁয়াজ চাষিরা লাভবান হবেন সরাসরি। সদরপুরের ফল ও সবজি চাষি এবং মধুখালীর মরিচ চাষিরাও সেতুর সুফল পাবেন। এ জেলার নয় উপজেলার চাষীদের উৎপাদিত ফসল ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে খরচ ও সময় বাঁচবে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দেয়া যাবে ফরিদপুরের কৃষিপণ্য। এতে লাভবান হবেন ভোক্তাও। তারাও কম দামে দক্ষিণের জেলাগুলোতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য কিনতে পারবেন।

পদ্মাসেতুর কারণে কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত ফসল সরাসরি রাজধানীর আড়তে সরবরাহ করতে পারবেন। ফলে বদলে যাবে চাষীদের ভাগ্য, সমৃদ্ধ হবে কৃষি অর্থনীতি।

পাঠকের মন্তব্য