নাছোড়বান্দা প্রেমিক প্রেমকান্ত; প্রেমিকাকে পেতে হাইকোর্টে

নাছোড়বান্দা প্রেমিক প্রেমকান্ত; প্রেমিকাকে পেতে হাইকোর্টে
প্রেমিকার দেখা করতে পাসপোট-ভিসা সংগ্রহ করে সুদূর তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশের বরগুণা জেলায় গিয়েছিলেন যুবক প্রেমকান্ত। কিন্তু প্রেমিকার বাবার আপত্তির কারণে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়নি। প্রেমিকাকে কাছে পেতে এবার তাই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হলেন ওই যুবক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসানের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর হাইকোর্ট চেম্বারে যান তামিলনাড়ুর প্রেমকান্ত। ইশরাত হাসান জানান, ”প্রেমকান্ত অন্য দেশের নাগরিক হলেও বাংলাদেশে তাঁর আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। সেই কারণে আমাদের কাছে আইনি পরামর্শের জন্য এসেছিলেন।”
২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্তের সঙ্গে বরগুনার তালতলির এক তরুণীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। প্রেমকান্তের বয়ান অনুযায়ী, পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি তামিলনাড়ু থেকে সোজা বাংলাদেশে আসেন। ২৪ জুলাই বরিশালের একটি রেস্তরাঁয় দু’জনের দেখা হয়। কিন্তু তারপর থেকে ওই তরুণী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ প্রেমকান্তের।
কিন্তু প্রেমিক তো নাছোড়বান্দা। তিনি বরিশাল ও বরগুনার বিভিন্ন স্থানে প্রেমিকার খোঁজে ঘোরাফেরা করতে থাকেন। বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতেও থাকতে হয় প্রেমকান্তকে। সেখান থেকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে প্রেমকান্তকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমকান্ত ঢাকায় না গিয়ে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৪ আগস্ট রাতে বরিশাল থেকে সড়কপথে ফের বরগুনা চলে যান। শুক্রবার বিকেলে তিনি প্রেমিকাকে খুঁজতে খুঁজতে তাঁর গ্রামের বাড়ি চলে যান।
সেদিন রাতেই তরুণীর বাবা তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্তর নামে তালতলি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গত শনিবার বিকেলে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনাল থেকে বরিশালের একটি যাত্রীবাহী বাসে পাঠিয়ে দিয়েছেন বরগুনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে প্রেমকান্ত ঢাকায় এসে আইনি সহায়তা খুঁজতে থাকেন। শেষে আইনজীবী ইশরাত জাহানের দ্বারস্থ হন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার অধিকার চেয়ে মামলা করলেন তামিল যুবক।
পাঠকের মন্তব্য