দুই যুগ পর যুবলীগ থেকে বিদায় নিলেন আতাউর রহমান সেলিম

মেয়র আতাউর রহমান সেলিম
হবিগঞ্জে দীর্ঘ ২৪ বছর পর যুবলীগ থেকে বিদায় নিচ্ছেন হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, অপরেশন ক্লিন হার্ট, ১/১১ সহ বিভিন্ন সময় জুলুম নির্যাতনের শিক্ষার আতাউর রহমান সেলিম। যার হাতের ছোয়ায় দীর্ঘ ২৪ বছরে হবিগঞ্জে যুবলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠনে রূপ নিয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম ১৯৮৫ সালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ দিয়েই তার রাজনীতি শুরু।
আতাউর রহমান সেলিমকে ১৯৮৬ সালে হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০০৩ সালে তাকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে আতাউর রহমান সেলিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনঃরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ২৪টি বছর যুবলীগের ছিলেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন আতাউর রহমান সেলিম।
৩৭ বছর রাজনীতির জীবনে আতাউর রহমান সেলিম দ্রুত বিচার আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ২৪টি মামলার আসামী হয়ে ৯ বারে প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেছেন। অপারেশন ক্লিন হার্ট এর সময় ১ বছর ও ১/১১ এর সময় ২ বছর আত্মগোপনে ছিলেন আতাউর রহমান সেলিম। জেল-জুলুম, নির্যাতনের পরও যুবলীগকে সু-সংগঠিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
পাঠকের মন্তব্য