লালমনিরহাটে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে যুবতীর অনশন

নমিতা রাণী রায় ও অশোক চন্দ্র রায়

নমিতা রাণী রায় ও অশোক চন্দ্র রায়

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে চারদিন ধরে অনশন করছেন নমিতা রাণী রায় নামে এক যুবতী। নমিতা রাণী রায় লালমনিরহাট জেলা শহরের দ্বীনবন্ধুটারী মাজাপাড়া এলাকার সুনীল চন্দ্র রায়ের মেয়ে। 

সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ভাদাই দক্ষিনপাড়া গ্রামে অশোকের বাড়ির দরজার সামনে এই অনশনের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। বিয়ের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও আইন ও হিন্দু আচার অনুসারে স্ত্রীকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না তার স্বামী ও স্বামীর পরিবার। তাই এই অনশন করছেন নমিতা রাণী।

জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার ভাদাই দক্ষিনপাড়া গ্রামের বিপিন চন্দ্র রায়ের ছোট ছেলে অশোক চন্দ্র রায়ের সাথে গত অক্টোবর মাসে হিন্দু বিবাহ হিসেবে রেজিস্ট্রি হয় অশোক ও নমিতা দম্পতির। বিয়ের পর থেকেই অশোকের বড় ভাই গোপালের কুপরামর্শে ও পারিবারিক চাপে অশোক সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে নমিতা রাণী জানান।

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনকারী নমিতা রাণী জানান, অশোকের পরিবার তাকে মেনে নিচ্ছে না বাড়ির বধূ হিসেবে। আমাকে তারা মারপিট করেছে এবং অশোকের বড় ভাই গোপাল রায় তাকে বিভিন্ন রকম হুমকিসহ অপবাদ দিচ্ছে।

এ বিষয়ে অশোকের ভাই গোপাল রায় বলেন, অনেক ভেজালে আছি দাদা। আমরা বিষয়টি আপোষ করার চেষ্টা করছি। আপোষ করার জন্য নমিতার ভাই জীবনকে ইতিমধ্যে এক লক্ষ টাকাও দেয়া হয়েছে। মেয়েটি নিজেও বলেছে টাকা দিলে সে এ বিষয়ে আর কোন দাবী করবে না। টাকা দেয়ার পরেও কেন মেয়েটা তাদের বাড়িতে আসলো।

তবে নমিতার ভাই জীবন রায় এক লক্ষ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে। তাদের সাথে আমার কোন টাকা লেনদেন হয় নাই।

এ বিষয়ে ভাদাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত  বিদুর জানান, বিষয়টি আমি নিজে এবল আমার ভাদাই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা সমাধান করার চেষ্টা করছি।

   


পাঠকের মন্তব্য