'নকআউট পর্বের টিকিট কাটলো ব্রাজিল' 

ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড

ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড

এক ম্যাচ বাকি রেখেই নকআউট পর্বের টিকিট কাটলো ব্রাজিল। দুর্দান্ত এক গোলে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন কাসেমিরো। ৮৩তম মিনিটে ডি বক্সের মাথা থেকে জোরালো শটে গোল আদায় করেন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলই ব্যবধান গড়ে দেয় দু’দলে।

এর আগে গোলশূন্য সমতায় প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড।  

বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপের এই ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরাই। ৫৪% বল দখলে রেখে ব্রাজিলিয়ানরা সুইজারল্যান্ডের গোলবারে নেয় ৬টি শট। যার দুটি ছিল অনটার্গেটে। বিপরীতে পুরো প্রথমার্ধে মাত্রই একটি শট নেয় সুইসরা। 

দ্বিতয়ার্ধের শুরুতেই নিষ্প্রভ পাকেতাকে তুলে রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার রদ্রিগোকে মাঠে নামান তিতে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্রাজিলের রক্ষণে চাপ তৈরি করে সুইসরা। ৫২ মিনিটে ভালো একটি আক্রমণও করে তারা। কিন্তু সেটা সুইজারল্যান্ডের ফরোয়ার্ড ব্রিল এম্বোলো পর্যন্ত পৌঁছায়নি ভিনিসিয়ুস শুয়ে পড়ে বলটি ঠেকানোয়। 

সুইজারল্যান্ডের এই আক্রমণটির পরের সময়টা শুধুই ব্রাজিলের। ৫৬ মিনিটে ভিনিসিযুসের বাড়ানো বল পায়ে লাগাতে পারলেই গোল পেতেন রিচার্লিসন। কিন্তু আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা রিচার্লিসনের কিছুই যেন ঠিকঠাকভাবে হচ্ছিল না আজ। অবশেষে ৬৪ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের জালে বল পাঠান ভিনিসিয়ুস। মাঝমাঠ থেকে আসা পাস ধরে কাসেমিরো বল বাড়ান বাঁদিকে থাকা ভিনিকে। পায়ের কারুকাজে এক সুইস ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে তিনি অসাধারণ শটে বল পাঠান জালে। 

গোল করে উদ্‌যাপনের কাজটাও সেরে ফেলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু রেফারি অফসাইড হয়েছে কি না জানতে ভিএআরের সাহায্য নেন। মিনিটখানেক পর তিনি তিনি সিদ্ধান্ত জানান-এটি গোল নয়। পরে থ্রিডি অ্যানিমেশন দেখানো হয় মাঝমাঠ থেকে বলটি আসার সময় ডানপ্রান্তে রিচার্লিসন সেদিকে দৌড় দিয়েছিলেন। বলে কোনো স্পর্শ না দেওয়ার পরও তাই তাঁকে অফসাইড ধরা হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য