কক্সবাজারে ইটভাটায় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম

সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার ও সদর উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও এলাকার আর.কে.সি ব্রিকস ও দিবা ব্রিকস নামে ২টি ইটভাটায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ উদ্যোগে সদর উপজেলায় অবস্থিত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় আর.কে.সি ব্রিকস ও দিবা ব্রিকস নামে ২টি ইটভাটার মালিককে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার দায়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা না করার জন্য মালিকদেরকে সতর্ক করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানাগেছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান এবং বিএসটিআই, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর,কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ইটভাটা অবৈধ বলে জানা যায়। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অবশেষে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন। অবৈধ ইটভাটাগুলো এতদিন প্রশাসনের একটি গোপনীয় শাখায় অবৈধভাবে টাকা দিয়ে চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক সংবাদে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো। তার সূত্র ধরে শুরু হয়েছে প্রশাসনের এ অভিযান।

এদিকে, পরিবেশ ছাড়পত্র ও ইট পুড়ানোর ছাড়পত্র না থাকায় অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসে দেশব্যাপী অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারেও অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে সূত্রটি দাবী করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ইটভাটাগুলোতে কয়লা পুড়ানোর নির্দেশ থাকলেও নির্দেশ অমান্য করে পুড়ানো হয় হাজার হাজার টন লাকড়ি। আর এসব লাকড়ি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে আশপাশের বন থেকে যার কারনে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ইটভাটায় এই অভিযানে নড়েচড়ে বসেছে জেলার অর্ধশতাধিক ইটভাটার মালিকরা। কয়েকজন ইটভাটা মালিক বলেন, তারা এতদিন প্রশাসনের একটি বিশেষ শাখায় টাকা দিয়ে ইটভাটা চালিয়েছেন।

 

   


পাঠকের মন্তব্য