পাইকগাছায় বৃদ্ধা মায়ে'র মামলায় হালিম শিকারী পুলিশের খাঁচায় বন্দি

পাইকগাছায় বৃদ্ধা মায়ে'র মামলায় হালিম শিকারী পুলিশের খাঁচায় বন্দি

পাইকগাছায় বৃদ্ধা মায়ে'র মামলায় হালিম শিকারী পুলিশের খাঁচায় বন্দি

পাইকগাছায় বৃদ্ধা মায়ে'র মামলায় গড়ইখালী'র আলোচিত হালিম শিকারী (৪৫) পুলিশের খাঁচায় বন্দি। মঙ্গলবার বিকেলে গড়ইখালী আয়ুব ও মোছা মেমোরিয়াল ড্রিগ্রী কলেজের সামনে হালিম  তার বৃদ্ধা মা জরিনা বিবি (৬৫) কে পিচের রাস্তার উপর টেনে-হেচড়ে উপুর্যপুরি মারপিট করে আহত করেন। এর পূর্বেই সে পরিবারের সদস্যদেরও মারপিট করেন।  এ ঘটনায় বাইনবাড়ীয়া ক্যাম্প পুলিশ হালিম শিকারীকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। 

এদিকে মামলাবাজ আলোচিত হালিম শিকারীর আটকের ঘটনায় গড়ইখালী'র গোটা এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসার খবর পাওয়া গেছে। 

থানায় মামলা ও হালিম শিকারীর পরিবার সুত্র জানায়, হোগলারচকস্থ বাড়ীর কাছে হালিম শিকারীর একটি প্লোল্টি ফার্ম রয়েছে। সে এ ফার্মের টাকার প্রয়োজনে পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন।  এত টাকা দিতে আপত্তি করায় হালিম ওয়ারেশ সুত্রের দাবী করে তার অংশের জমি বন্ধক রাখার কথা বলে এক জনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চায়। কিন্তু এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি ও বিরোধ সৃষ্টি হলে শুরুতে স্ত্রী ও স্কুল পড়ুয়া মেয়ে লাঞ্চিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে গড়ইখালী  কলেজের কাছে পিচের রাস্তায় ফেলে হালিম শিকারী অমানুষিক ভাবে তার বৃদ্ধা মা'কে মারপিট করে আহত করেন। এ ঘটনায় আহত জরিনা বেগম  সন্ধ্যায় থানায় পৌঁছে পুলিশের কাছে ছেলের উপযুক্ত বিচার দাবী করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে এ সময় হালিম  মারপিটের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও বৃদ্ধা মা ক্ষমা করেনি।এ ঘটনায় মা বাদী হয়ে হালিমের বিরুদ্ধে থানায় মামালা করেছেন, যার নং-২২। 

এদিকে হালিম শিকারী সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গড়ইখালী ইউপি'র শান্তার লিটন গাজীর স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪৮) নামে এক গৃহবধু থানায় আরোও একটি এজাহার দাখিল করেছেন। 
 
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাঁদাবাজি,অস্ত্র সহ বিভিন্ন মামলার আসামী হালিম শিকারী একজন চিহ্নিত মামলাবাজ ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। মানুষের ফাঁদে ফেলে ক্ষতি করা তার নেশা ও পেশা হযে দাঁড়িয়েছে। নার্গিস বেগম জানান, আমার স্বামী লিটন গাজী ইট ভাটা সর্দার হিসেবে ব্যবসা করেন এবং বিভিন্ন ভাটায় লোক পাঠায়। কিন্তু এখান থেকে সুভিধা নিতে হালিম শিকারী ও তার লোকেরা স্বামীর কাছে ২ লাখ টাকার চাঁদাদাবী করেন। তিনি অভিযোগ করেন টাকা দিতে অস্বীকার করলে হালিম বাহিনী  গত ১০ ডিসেম্বর  রাত ৯ টার দিকে আমার বাসতঘরের কাছে ফেলে মারপিট করে হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এ ঘটনায় লিটন গাজীর স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদী হয়ে হালিম শিকারী, ইয়াসমিন শিকারী, লিটন শেখ সহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেন। এ বিষয়ে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, মা'কে মারপিটের মামলায় হালিম শিকারীকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে নার্গিস বেগমের স্বামীর কাছে  চাঁদাদাবী ও মারপিটের অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

   


পাঠকের মন্তব্য