নোয়াখালী জেলার চাষীরহাটে প্রদর্শনী মেলা ও পিঠা উৎসব 

নোয়াখালী জেলার চাষীরহাটে প্রদর্শনী মেলা ও পিঠা উৎসব 

নোয়াখালী জেলার চাষীরহাটে প্রদর্শনী মেলা ও পিঠা উৎসব 

নোয়াখালী জেলার সর্ব উত্তরে অবস্থিত সোনাইমুড়ীর চাষীর হাট ইউনিয়ন। নোয়াখালীর এই প্রবেশদ্বারেই বিশ্বরোড ঘেষে গড়ে উঠেছে চাষীর হাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় মাঠেই বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয় চাষীর হাট উন্নয়ন প্রকল্পের নিজস্ব পণ্য প্রদর্শনী ও পিঠা উৎসবের।

প্রথম দিনই আশেপাশের এলাকা থেকে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সমাগমে এক মিলনমেলায় রূপ দেয় মেলা প্রাঙ্গণকে। মেলার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ গতকালও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মেলার মাঠ, যেন তিল ধারণের ঠাই নেই।

গ্রাম-বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে গ্রামীণ মেলা ও পিঠা-পায়েসের উৎসব। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামে এ ধরনের উৎসবের আয়োজন খুব একটা দেখা যায় না। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণই ছিল শতাধিক পিঠার প্রদর্শনী। চাষীর হাট উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মীদের নিজস্ব উদ্যোগে হাতে তৈরি গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া শতাধিক প্রকারের পিঠা এই উৎসবে প্রদর্শন ও বিক্রী করা হয় অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে। চাষীর হাট উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৪২টি প্রকল্প রয়েছে। তার মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ, ডেইরি খামার, ছাগলের খামার, ভেড়ার খামার, মুরগীর খামার, মৎস প্রকল্প, তৈরি পোশাক কারখানা, ফুড প্রোডাক্টস, কৃষি খামার, শিক্ষা প্রকল্প, চিকিৎসা প্রকল্প, পশুখাদ্য প্রকল্প ইত্যাদি। 

উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই প্রকল্পগুলোর নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও গ্রামের উন্নয়নের প্রতি জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল এই মেলার মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া এই মেলার মাধ্যমে এলাকার সকল দল-মতের মানুষের মধ্যে ঐক্য চেতনা সৃষ্টি হবে, দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি হবে বলে আশা করেন উদ্যোক্তারা।

উল্লেখ্য গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিকেল ৩টায় উদ্বোধন করা হয় এই প্রদর্শনী মেলা ও পিঠা উৎসবের। ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন চাষীর হাট উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা ও উপদেষ্টা, মেকদাদ এন্ড মেহরাদ এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান, এলাকার কৃতী সন্তান হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

   


পাঠকের মন্তব্য