যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জন 

যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জন 

যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জন 

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ শীতকালীন ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। ঝড়ের কারণে গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছেন অনেকেই, এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ ঘরবাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। ফলে আরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে পশ্চিম নিউইয়র্ক রাজ্যের এরি লেকের ধারে বাফেলো শহরের কেন্দ্র ও এর আশেপাশের এলাকায়। এরি কাউন্টি এক্সিকিউটিভ মার্ক পোলোনকার্জ বলেন, ঝড়ের কারণে বাফেলো অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতেই ৩ জন থেকে বেড়ে ১২ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ নিহতদের মধ্যে কয়েকজনকে গাড়িতে ও তুষার ব্যাংকে আটকা অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, তুষারঝড় ও তুষারপাতের কারণে গত শুক্রবার থেকে গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্বেও সপ্তাহান্তে এরি কাউন্টির শত শত মোটরচালককে যানবাহনে নিয়ে বেরিয়ে আটকা পড়তে দেখা যায়। এদিকে তুষারপাত বেড়ে যাওয়ার কারণে জটিল অবস্থা সৃষ্টি হয়। যে কারণে উদ্ধারকর্মীদের কাজে ব্যাপক বাধা তৈরি হয়। তাই এ উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ড সেনাদেরও ডাকা হয়েছে।

পোলোনকার্জ এক টুইট বার্তায় বলেন, 'এমন বড়দিন আমরা কেউ চাইনি বা আশাও করিনি। প্রিয়জন হারা পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।'

নর্থ বাফেলোর বাসিন্দা জন বার্নস জানান, তিনি ও তার পরিবার ঝড় ও প্রচন্ড ঠাণ্ডায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাদের বাড়িতে আটকা ছিলেন। তিনি বলে, ‘গত দু'দিন যাবৎ এখানে সব থমকে আছে। কেউ বাইরে বের হয়নি। কাউকে তাদের কুকুর নিয়ে হাঁটতে দেখা যায়নি।’ এমন ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো। বিদ্যুৎ বিভাগ যতটা সম্ভব বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর একদিন আগে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেছিলেন, ‘অনেকে আমাদের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করছেন। কিন্তু আমাদের যত গাড়িই থাকুক না কেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা চলাচল করতে পারছে না। রাস্তায় বের করা যাচ্ছে না।’

তুষারঝড়ে হিমশীতল হয়ে পড়া কানাডার অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও নিউফাউন্ডল্যান্ডের অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। এসব অঞ্চলে হাজার হাজার গাড়ি তুষারে ঢাকা পড়েছে। কানাডায় তুষারঝড়ে অনেকগুলো গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আলজাজিরার প্রতিদেনে। কিন্তু দুর্ঘটনা বা হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। 

   


পাঠকের মন্তব্য