পাইকগাছায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় জাকিরুল আটক

পুলিশের খাঁচায় জাকিরুল ইসলাম

পুলিশের খাঁচায় জাকিরুল ইসলাম

পাইকগাছায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় থানা পুলিশের খাঁচায় জাকিরুল ইসলাম। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১২ সালের ৮(১)/৮(২)/৮(৪) ধারা পর্নোগ্রাফি উৎপাদনের মাধ্যমে বাদীর সামাজিক মর্যাদাহানি সহ ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় ও পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের মাধ্যমে কান উপদ্রব সৃষ্টি করার অপরাধে মোছাঃ ফরিদা বেগম তার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার মামলা করেছে, যার নং- ৩০। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের মোঃ ফজলে করিম শেখের মেয়ে ফরিদা বেগম এর সাথে মঠবাটি গ্রামের করিম গাজীর পুত্র মোঃ জাকিরুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। 

একপর্যায়ে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর খুলনা নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে ফরিদার পিতার বাড়ীতে জাকিরুল বসবাস করতে থাকে। আসামী জাকিরুল চাকরী পেলে সবাইকে জানাইয়ে বাড়ীতে নিয়ে যাবে। এর মধ্যে সুকৌশলে জাকিরুল তাদের দৈহিক মেলামেশার ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। এগুলো ডিলিট করতে বললেও সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। আসামী দোকান করবে বলে ফরিদার কাছে টাকা দাবী করলে বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা উত্তোলনসহ তার কাছে থাকা নগদ টাকাসহ সর্বমোট ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আসামীকে দেয়। 

টাকা নেওয়ার পর আসামী ফরিদার সাথে সংসার করবে না বলে তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আসামী তার স্ত্রী ফরিদাকে তালাক প্রদান করে। তালাকের কাগজপত্র পাওয়ার পর ফরিদা তার দেওয়া টাকা আসামীর নিকট চাহিলে আসামী তাকে ভয়ভীতিসহ মেলামেশার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে এমন হুমকি নিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর আসামী জাকিরুল তাদের মেলামেশার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। 

এ বিষয়ে আপোষ মিমাংসা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ফরিদা থানায় মামলা করেছে। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, আসামী জাকিরুলের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য