পাইকগাছায় অবৈধ স্থাপনা ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী টালির পাঁজা উচ্ছেদ 

উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম

উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম

খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরের সঙ্গে সড়কপথে  যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম পাইকগাছা থেকে ১৮ মাইল সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের পাইকগাছার আগড়ঘাটায় দুই টি বাঁক  ‘মহাবিপজ্জনক’ হয়ে উঠে। যাত্রীদের কাছে রূপ নিচ্ছে আতঙ্কে। প্রায় এই সড়কে ঘটচ্ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। ঝরছে  প্রাণ। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই। 

মূলত চালকদের অদক্ষতা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও প্রধান সড়ক লাগোয়া অবৈধ স্থাপনা এবং  যানের অবাধ বিচরণের কারণেই রোধ করা যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। তাই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে সড়কটিকে নিরাপদ করে তোলার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে পাইকগাছার আগড়ঘাটা বাজারের প্রধান সড়কের দুইটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক জনস্বার্থে সরলীকরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর নির্দেশনায় সড়কের দুই পার্শ্বের খাস জমি দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ১২টা দোকান ঘর ও ১টা সরকারি চাঁদনী ঘর সহ ৭০ থেকে ৮০ মিটার স্থাপনা থানা পুলিশের সহায়তায় নিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন ধরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্বে দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন। সঙ্গে ছিলেন এস আই তরিকুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স। 

মোড় দুইটি যানবাহন চলাচলের জন্য ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেটা বাঁক সরলীকরণ প্রজেক্টের মধ্যে ছিল না। এদুটি মোড়ে দুর্ঘটনা প্রায় লেগে থাকত। শুধু মাত্র মানুষের কথা ভেবে, যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য একাজ টা করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানিয়েছেন। এছাড়া হরিঢালীতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা পরিবেশ বিপর্যয়ে বা দূষণকারী টালির ভাটা বা পাঁজা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

   


পাঠকের মন্তব্য