প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রস্তুত রাজশাহীবাসী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফোটো)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফোটো)

নগরীর পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের আটটি উপজেলার উৎসাহী মানুষ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যেই মহানগরীটি বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত হয়েছে। নগরীর রাস্তার পাশের দেয়ালগুলোতে ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে প্রধান অতিথি হিসেবে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী নগরী ও জেলা ইউনিট এ জনসভার আয়োজন করছে। জনসভায় ভাষণ দেয়া ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৩১৬.৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। 

প্রায় ৩৭৬.২৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে আরো ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনসভাস্থল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বড় ও মাঝারি আকারের ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন বলেন, জনসভা ও এর আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় জনসাধারণ যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনতে পারে- সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জনসভাটি সফল করার প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, এই জনসভাটি রাজশাহীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন। এই ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, বিসিক শিল্পনগরী-২, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে। এর জন্য জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই, কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তিনি আশা করেন, রাজশাহীর জনসভায় অন্তত ৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে।

এদিকে, জনসমাবেশটি সফল করতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। 

আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, নগরীতে ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৩০ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও আতশবাজী বহন, ব্যবহার ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই সময়ে পূর্ব অনুমতি ছাড়া ড্রোন চালানো নিষিদ্ধ। এছাড়াও ওই সময়ে দেশি-বিদেশি মদ, স্পিরিট ও অ্যালকোহলসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নিরাপত্তা কর্মীরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত। 

কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, যেহেতু এখানে দুর-দুরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যায় লোকজনের সমাগম হওয়ার কথা, তাই জনসভাটিকে কেন্দ্র করে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতেই তারা এইসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।

   


পাঠকের মন্তব্য