রাঙ্গাবালীতে তরমুজ কমিয়ে মুগডাল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

রাঙ্গাবালীতে তরমুজ কমিয়ে মুগডাল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে মোঃ রাকিব : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচিত তরমুজ চাষ কমিয়ে দিয়ে মুগডাল চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন কৃষকেরা। এর আগে ফসলটির উপর তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি কেউ। গতবছর থেকে শুরু হয়েছে লক্ষ্যনীয় চাষাবাদ। শুরুতেই ফলন হয়েছে ভাল, বিক্রিও হয়েছে চাহিদা মুল্যে। এতেই উৎসাহিত হয়েছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে পুরোদমে চলছে এর চাষাবাদ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার রাঙ্গাবালী বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র ট্রাক্টর দিয়ে চলছে চাষাবাদ। একই সাথে বুনুন কাজও সম্পন্ন করছেন ক্ষেত মালিকরা।
তরমুজের মতো একটা অর্থকরী ফসল চাষাবাদে উৎসাহ কমে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের শাহআলম বলেন, গত বছর ২ একর য়ের মত জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করেছি কিন্তু ভাইরাস জনিত কারনে পুরোটাই লস হয়েছে একটা তরমুজ নিজেরাও খেতে পারিনাই সবাই বলাবলি করছে তাপ বিদ্যুৎয়ের প্রভাবে তরমুজ আর আগের মত হচ্ছেনা আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট লস হয়েছে তাই এখন মুগডাল চাষাবাদ করছি।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের চাষী কামাল হোসেন বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগ থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলায় শুরু হয়। তরমুজ চাষ। এখন আর ওইসব জমিতে তরমুজ হয়না। তাই আমরা ফসলের ধরন বদলিয়ে মুগডাল চাষ করছি।
তবে বড় বড় চাষিরা এখন পার্শবর্তী উপজেলা গলাচিপা, দশমিনা ও বাউফলের চর এলাকায় একশনা জমি রেখে তরমুজ চাষ করছে। আমরা কম খরচে নিজ নিজ এলাকায় মুগডাল চাষ করছি।
গতবছর কি পরিমান লাভ হয়েছে জানতে চাইলে একই এলাকার চাষী লিটন দফাদার জানান, সে গতবছর ১-২৫ শতাংশ জমিতে ডাল চাষ করেছিল। তাতে তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা, ডাল পেয়েছে ৭ মন। (৪৮ কেজিতে মন) বিক্রি করেছে ৪ হাজার টাকা মন দরে। তাতে লাভ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। কম খরচ, কম পরিশ্রমে দ্বিগুণ লাভ পেয়ে ডাল চাষে উৎসাহী হয়েছেন তারা।
রাঙ্গাবালী কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহম্মেদ জানান, একই জমি দির্ঘদিন যাবত চাষাবাদের কারনে বিজ বাহিত ও মাটি বাহিত রোগ বেড়ে গেছে তাই তরমুজ ফলন ভাল হচ্ছেনা, সে জন্য অন্য ফসলের দিকে ঝুকছে চাষী, চলতি মৌসুমে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে তবে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৯,৫০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে আশা করছি পুরো হিসেব চলে আসলে লক্ষ্যমাত্রাই পৌছাবে,তবে মুকডাল চাষ বেড়ে গেলে কিছু কম হতে পারে।যেহতু মুক ডালের এখনি মৌসুম তাই এখনি বলা যাচ্ছেনা কি পরিমান চাষাবাদ হয়।
পাঠকের মন্তব্য