ফরিদপুরে আস্থা আইরিশ মৈত্রী হাসপাতালের যাত্রা শুরু
ফরিদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সংলগ্ন এলাকায় আস্থা আইরিশ মৈত্রি হাসপাতাল তাদের যাত্রা শুরু করেছে। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় হাসপাতালের ফিতা কেটে এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এর উদ্বোধন করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ।
আস্থা আইরিশ মৈত্রী হাসপাতালের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত কুমার সাহা তনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ আব্দুল্লাহ বিন কালাম, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক প্রফেসর মোঃ শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ব্যানার্জি, বিএমএ এর সভাপতি ডাঃ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের সুজন মেকে, লিসা ওয়ালেজ, কিনিয়ান রাইনি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে হাসপাতাল পরিচালকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সঞ্জীব দাস, ডাঃ বিপুল চাকি ও ডাঃ গৌতম কুমার দাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান ভাষার মাস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। হাসপাতালের কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।
বক্তারা আস্থা আইরিশ মৈত্রী হাসপাতালের উন্নতি ও সাফল্য কামনা করার পাশাপাশি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষকে বিনা মূল্যে অসহায়, দুস্থ, মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।
তারা বলেন, চিকিৎসার নামে বানিজ্য, কমিশন বানিজ্য যেন না হয় সেদিকে কর্তৃপক্ষকে লক্ষ রাখতে হবে। এই হাসপাতালটি যেন সেবার দিক থেকে সাধারণ মানুষের অন্যতম ভরসার স্থান হয়ে উঠতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখবেন। মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানের সকলের প্রতি অনুরোধ করেন অতিথিবৃন্দ।
হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা তনু বলেন, এই হাসপাতালটিকে বিশ্ব মানের হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করছি। আমরা চাই শুধু ফরিদপুর নয় সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসবে। আমাদের দেশের মানুষ একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হলেই ভারতে দৌড়ায়। ভারতে যেন না যেতে হয় সে লক্ষ নিয়ে আমাদের পথ চলা। আমাদের চিকিৎসার মান এতটাই উন্নত যে, কাউকে আর দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ও একটি রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছি। আমরা সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
পাঠকের মন্তব্য