লক্ষ্মীপুরে এক কোল্ডস্টোরেজে মিলল নারীর মরদেহ

মাহিনুর বেগম (২৫)

মাহিনুর বেগম (২৫)

মৃত্যু অনেক সময় সৃষ্টি করে রহস্য সৃষ্টি করে চাঞ্চল্য। হয় অনেক তদন্ত, অনেক আলোচনা। আবার অনেক আলোচনা অংকুরেই বিনষ্ট হয়, দেখেনা কখনো আলোর মুখ। মৃত্যু নিশ্চিত, তাকে এড়ানোর সুযোগ নাই, কিন্তু কিছু মৃত্যু বিবেককে নাড়া দিয়ে যায়। এমনি এক নাড়া দিয়ে মৃত্যুর নাম মাহিনুর। নিষ্ঠুর নিয়িতির শিকার মাহিনুর বেগম (২৫) এর মৃতদেহ লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাটের পরিত্যক্ত এক কোল্ডস্টোরেজ হিমাগার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সরেজমিনে জানা যায়, গতকাল বিকালে উদ্ধারকৃত মাহিনুর বেগম লক্ষীপুর বিসিক শিল্পনগরীর একটি চকলেট কারাখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো । মাহিনুর বেগমকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই হিমাগারে মরদেহ ফেলে রেখে যায়।

এ নারকীয় হত্যাকে কেন্দ্র করে  নিহতের বড় ভাই মো. তামিম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে জেলার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি এ প্রতিবেদককে  নিশ্চিত করেছেন।

মাহিনুর লক্ষীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকার নুর নবীর মেয়ে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় যে তিনি কাজে বের হওয়ার পর দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

মাহিনুর বেগম এর লাশ উদ্ধার সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, একটি শিশু কোল্ডস্টোরেজের পাশে খেলতে আসে। পরে প্রকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে পরিত্যক্ত ভবনটির ভেতরে ঢোকে। ঐ সময় শিশুটি মৃত নারীকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন খবর পেয়ে এসে মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। মরদেহের গলায় ওড়না পেঁচানো ও জিহ্বা বের হওয়া অবস্হায় ছিল। মাহিনুরের মুখমণ্ডলে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

নিহত মাহিনুরের মা মনি বেগম ও বড় বোন রোকেয়া বেগম জানায়, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন মাহিনুর। এরপর থেকে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। গত সন্ধ্যায় ফেসবুকে তার মৃত ছবি দেখে আশপাশের লোকজন তাদেরকে বিষয়টি জানায়। পরে তারা থানায় গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে। মাহিনুরকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার সাধারন জনগন। তারা দ্রুত অপরাধী কে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

   


পাঠকের মন্তব্য