ফরিদপুরে দুদকের আয়োজনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত  

ফরিদপুরে দুদকের আয়োজনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত  

ফরিদপুরে দুদকের আয়োজনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত  

"রুখব দুর্নীতি, গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’' এই স্লোগানকে ধারণ করে ফরিদপুরে বিভিন্ন সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের সরাসরি অভিযোগের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ গণশুনানিতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে জেলার ২৫ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১৪৫ টি অভিযোগ করেছেন সেবাগ্রহীতারা।

২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০ টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে কবি জসীম উদ্দীন হলে ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সেবা পেতে হয়রানি বা ঘুষ, দুর্নীতির শিকার সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ এবং সেবা প্রদানকারী সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদারের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে, গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা) আক্তার হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর মোঃ শাহজাহান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।

এসময় ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ লিটন আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান সহ সরকারি দপ্তরের প্রধান, জনপ্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ গণশুনানি সভায় কিছু অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান দিয়েছে দুদক। তাছাড়া ধাপে ধাপে অভিযোগ সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের অভিযোগ সরাসরি শুনেছে দুদক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে ভুমি অফিসের বিরুদ্ধে। শুনানিতে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সেবামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হয়রানি, দুর্নীতি, অনিয়ম, ঘুষসহ নানা অভিযোগ তোলেন সেবাগ্রহীতারা। এর মধ্যে কিছু অভিযোগ ছিল সুনির্দিষ্ট, কিছু ছিল ভিত্তিহীন।

২৩ টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের শুনানি হয়। ১ টি অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ১২১ টি অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করে দুদক। পাশাপাশি অভিযোগ সমাধানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন দুদক কর্মকর্তারা।

অভিযোগ উঠা প্রতিষ্ঠানগুলো ফরিদপুর সদর ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটি অফিস, শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, নির্বাচন অফিস, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, ওয়াকফ ষ্টেট, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বিদ্যুৎ বিভাগ (ওজোপাডিকো), পুলিশ বিভাগ, পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা। 

পাঠকের মন্তব্য