রাঙ্গাবালীতে চোরের উৎপাত আতঙ্কে নিঘুম রাত গ্রামবাসীর 

রাঙ্গাবালীতে চোরের উৎপাত আতঙ্কে নিঘুম রাত গ্রামবাসীর 

রাঙ্গাবালীতে চোরের উৎপাত আতঙ্কে নিঘুম রাত গ্রামবাসীর 

পটুয়াখালী জেলাধীন রাঙ্গাবালী উপজেলার আওতাধীন কয়েকটি ইউনিয়নে দিন দিন চোরের উৎপাত বেড়েই চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ চোরেরা রাতে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে ঘরের সিদ কেটে প্রবেশ করে চুরির কাজ সম্পন্ন করে পরে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার সহ, নগদ টাকা, নিয়ে যাচ্ছে। 

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, উপজিলার ছোটবাইশদিয়া ফুলখালী গ্রামে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।  এছাড়াও একই উপজিলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে গরু চুরি করতে আসে চোরচক্র পরে বাড়িতে থাকা লোকজন সজাগ হয়ে চোরদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় ! 

উপজিলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের ফুলখালী গ্রামের ভুক্তভোগী রিজিয়া বেগম বলেন, চোরেরা সাধারনত গভীর রাতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে, তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তিনি আরও জানান, চলতি মাসের গত বুধবার ১৫ তারিখে আমার বাড়িতে ননদ আর তার জামাই বেড়াতে আসে তাদের আপ্যায়নের পরে রাতে খাবার  খেয়ে ঘুমিয়ে পরি। সেই রাতে ঘরের সিধ কেটে মাটি সরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, ৪টি স্মার্ট ফোন, স্বর্ণালংকার, জাতীয় পরিচয় (স্মার্ট কার্ড) পত্র সহ সব নিয়ে যায়। আমরা কেউ বুঝতেও পারি নাই মনে হয়েছে অচেতন হবার মত কিছু একটা ব্যবহার করেছে চোরচক্র। আমাদের একেবারেই সর্বহারা করে দিয়ে গেছে !   

ফুলখলী গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের আবুল হোসেন বলেন, গভীর রাতে দর্জা খুলে প্রবেশ করে আমাদের অচেতন করে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, স্মার্ট ফোন, নগদ ক্যাশ সহ প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার মাল নিয়ে গেছে!

একই গ্রামের শামিম ফরাজী বলেন, গত শনিবার ১৮ তারিখ রাতে সিদ কেটে আমার ঘরে প্রবেশ করে চোর চক্র, ঘরে থাকা নগদ ২০০০০ টাকা ও দুইটি স্মার্ট ফোন নিয়ে গেছে আমার, আমি রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি!

এ বিষয়ে যানতে চাইলে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, তদন্ত চলছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

   


পাঠকের মন্তব্য