নিউইয়র্কে একাধিক বাড়ি; দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ

আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ এমপি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একাধিক বাড়ি কেনাসহ আওয়ামী লীগের এমপি আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চার মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আবদুস সোবহানের একাধিক বাড়ি কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

তথ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট-এর  (ওসিসিআরপি) প্রতিবেদনসূত্রে আবদুস সোবহানের যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কেনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক রোববার রিটটি করেন। 

আদালতে তিনি নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন।

সৈয়দ সায়েদুল হকের করা রিটটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, অনুসন্ধান শেষে অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে দুদক রিট আবেদনকারীকে অবহিত করবে। দুদক চাইলে নির্বাচন কমিশনসহ সব বিবাদীরা অনুসন্ধান কাজে সংস্থাটিকে সহযোগিতা করবে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে আদালত বলেছেন, দেখা যাচ্ছে ৫ নম্বর বিবাদীর (আবদুস সোবহান মিয়া) বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠছে। রিট আবেদনকারী অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের পাশাপাশি রিটে আনা অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করলে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওঠা অভিযোগ বিষয়ে দুদকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। ওই বছর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন তিনি। পরের পাঁচ বছরে তিনি নিউইয়র্কে একে একে  মোট ৯টি প্রপার্টি বা সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)।