বান্দরবানে প্রশিক্ষণ কমান্ডারসহ ৯ জন জঙ্গীকে গ্রেপ্তার 

জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া

জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া

বান্দরবানের টঙ্কাবতী এলাকায় জঙ্গী সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র এক প্রশিক্ষণ কমান্ডারসহ নয়জনকে গ্রেপ্তারের করেছেন র‌্যাব। ১৩ মার্চ সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্রিফিংয়ে জানানো হয় রোববার (১২ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার রাতে জঙ্গি সংগঠনটির পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার হোসেন চম্পাইসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটির খোঁজ পাওয়ার পর গত বছরের অক্টোবর থেকে পাহাড়ে র‌্যাবের এই অভিযান চলছে। ওই সময় থেকে ধারাবাহিক অভিযানে বিভিন্ন সময়ে ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’-এর অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। 
 
পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ বা বম পার্টির সম্পৃক্ততা রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে জানিয়ে র‌্যাব জানায়, জঙ্গি সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতাকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার করে। পাহাড়ে-সমতলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাড়া খেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল জঙ্গিরা। 
অন্যদিকে জঙ্গি সংগঠনটির চার সদস্যকে গত ১ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, তাদের মধ্যে একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম রয়েছেন। ‘সংগঠনটির আমিরের নির্দেশে’ তারা পার্বত্যাঞ্চল ছেড়ে সমতলে নেমে এসেছিলেন বলে র‌্যাব জানিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির কতজন সদস্য, নেতৃত্বে কারা কিংবা কী পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে, সেসব নিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তদন্তে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
 
খন্দকার আল মইন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা নিকটাত্মীয়, স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তি বা বন্ধু বান্ধবের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই সংগঠনে যোগদান করে। তবে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে সমতল থেকে পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়। পার্বত্য অঞ্চলে তারা বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র চালানো, অন্যান্য সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, বোমা তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তিনি আরও জানান, বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটির খোঁজ পাওয়ার পর গত বছরের অক্টোবর থেকে পাহাড়ে র‌্যাবের এই অভিযান চলছে।

   


পাঠকের মন্তব্য