দেশের বৃহৎ শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব পালিত বেরোবিতে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পালিত হলো চতুর্থ শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব। 'সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র'কর্তৃক আয়োজিত ঢাকার বাইরে দেশের সবচেয়ে বড় এই সংগীত উৎসব বুধবার(১৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উদ্বোধন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ।

উদ্বোধনী ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেন,শাস্ত্রীয় সংগীত সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রধান একটি মাধ্যম।সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এত বৃহৎ পরিসরে দেশের প্রতিটা অঞ্চলে এই শাস্ত্রীয় সংগীত পালিত হলে দেশের সংস্কৃতি রক্ষায় কল্যাণকর ভূমিকা রাখবে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থবারের মত আয়োজিত এই শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবে দেশবরেণ্য শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে  কণ্ঠ সংগীতে ড. অসিত রায়, আলমগীর পারভেজ, সুপ্রিয়া দাশ, সেতারে এবাদুল হক সৈকত, আহসান হাবিব হারামাইন, চম্পক কুমার, বেহালায় মাহমুদুল হাসান, নৃত্যে ওয়ার্দা রিহাব, বাবরুল আলম চৌধুরী, মনুসংহিতা দেবশর্মা, নওশীন নওয়াল চৌধুরী, তন্বী সরকার, বাঁশিতে রনধীর দাস, তবলায় প্রশান্ত ভৌমিক, প্রশান্ত কুমার দাস ও অমিত চৌধুরী দীপ্ত। এছাড়াও সমবেত যন্ত্র সংগীত পরিবেশনায় থাকবে শুদ্ধ সংগীত পরিষদ।

অনুষ্ঠান শুরু হয় সুপ্রিয়া দাশের পরিবেশনার মাধ্যমে, এরপর নৃত্যে আসেন ওয়ার্দা রিহাব,বাবরুল আলম চৌধুরী,তন্বী সরকার।পরে ড.অসিত রায়সহ অন্যান্য শিল্পীরা তাদের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এত বৃহৎ পরিসরে  শাস্ত্রীয় সংগীতের এমন আয়োজন দেখে শিক্ষার্থী ও দর্শকেরা মুগ্ধ হয়েছে।এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ বলেন,আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আয়োজনে সত্যিই মুগ্ধ,এই আয়োজনের ফলে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মনোভাব তৈরি হচ্ছে। বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন,শাস্ত্রীয় সংগীতের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে যেন আমরা সংগীতের আদি কিংবা প্রাণ কেন্দ্রে চলে গিয়েছি। শাস্ত্রীয় সংগীতের এই ভুবনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক মো: আতিউর রহমান বলেন, সংস্কৃতির মূলধারা চর্চার লক্ষ্যে গত আসর গুলোর ধারাবাহিকতায় চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব।এই আয়োজনের মাধ্যমে অপসংস্কৃতি ও চিন্তার দৈন্যতা দূর হবে এবং শিক্ষার্থীদের মনে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মনোভাব বিরাজ করবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে ঢাকার বাইরে এত বড় ক্লাসিক্যাল সংগীতের আয়োজন মাত্র বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই করা হচ্ছে। পূর্বে তিনটি আসর আয়োজন করার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। গত তিন আসরে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় শিল্পীরা এতে অংশ নিয়েছিলেন।

   


পাঠকের মন্তব্য