বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে বাউফলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ

পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগ

পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের তিন  গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারসহ আহত  হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।  আহতদের  মধ্যে অধিক গুরুতর তিন জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনাসূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ শুক্রবার  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে বাউফলে আওয়ামীলীগ চার ভাগে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচী ঘোষণা করে। 

এক পক্ষে নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য  ও সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ(এমপি), অপর পক্ষে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল। অন্য আরও একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওয়লাদার। এছাড়াও হাসিব আলম তালুকদারের পক্ষ থেকেও কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে মোতালেব হাওলাদার ও তার কর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে উপজেলা দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে রওয়ানা হলে উপজেলা পরিষদের সামনের গেটে পুলিশ মিছিলটিকে বাধা দেয়।

 এক পর্যায়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ পরে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। বাধা উপেক্ষা করে মোতালেব হাওলাদারসহ কয়েক নেতাকর্মী জনতা ভবনের দিকে রওয়ানা হলে গেটের অদুরেই আসম ফিরোজ সমর্থিত সমর্থকরা মোতালেব হাওলাদারের উপর হামলা করে। এতে মোতালেবসহ আহত হন অন্তত ১৫জন।

 এসময় উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলে আহত হন পুলিশসহ আরও ১০জন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে শান্তিপূর্ণ ভাবেই র‌্যালী ও সমাবেশ সম্পন্ন করেছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ সোয়েব মাহমুদ জানান, মোতালেব হাওলাদারের শরীরে বিভিন্ন অংশে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠির আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও রিপন নামের অপর এক কর্মীর একাধিক রাবার বুলেটের আঘাত থাকায় তাদের দুজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের ব্যপারে দুপক্ষকে একসাথে বসানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা রাজি হননি। একপক্ষকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করা হল অপর পক্ষকে কেন লাঠি চার্জ করলেন না ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা দু পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করেছি। 

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন জানান,  বাউফলে তিন গ্রুপের র‌্যালী ঘোষণা করা হলে সকলকে সময় বেধে দিয়ে স্ব-স্ব স্থান থেকে র‌্যালী বের করতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিত নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয় (আওয়ামীলীগের) দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ২০-৩০ জন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের দিকে রওয়ানা হলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৬জন পুলিশ সদস্য অহত হয়েছেন।

   


পাঠকের মন্তব্য