সুখী দেশের তালিকার শীর্ষে ফিনল্যান্ড; পেছাল বাংলাদেশ

সুখী দেশের তালিকার শীর্ষে ফিনল্যান্ড; পেছাল বাংলাদেশ

সুখী দেশের তালিকার শীর্ষে ফিনল্যান্ড; পেছাল বাংলাদেশ

টানা ৬ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের শীর্ষ অবস্থানে আসন গেড়ে আছে ফিনল্যান্ড। তবে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান আগের চেয়ে পেছাল।

অনেকের মনে প্রশ্ন, বারবার ফিনল্যান্ড কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ? তার রহস্য খোলাসা করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন নিজেই।। তিনি বলেছেন- সমতা, একটি ভাল অর্থায়নজনিত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র, এসবই ফিনল্যান্ডের বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হওয়ার পেছনে গোপন বিষয়।  ৫৫ লাখ মানুষের দেশের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড এবং তিনি এটি ধরে রাখতে চান। 

১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪ তম। অন্যদিকে এবারের সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাম। 
 
গতকাল ২০ মার্চ ছিল বিশ্ব সুখ দিবস। প্রতিবছর এই দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এবারও প্রকাশ করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট২০২৩।  জাতিসংঘের সৌজন্যে ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট নামে এক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুখী দেশের তালিকায় ফিনল্যান্ডের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। চতুর্থ ইসরায়েল ও পঞ্চম নেদারল্যান্ডস। সেরা ১০টি সুখী দেশের মধ্যে এরপর রয়েছে সুইডেন (ষষ্ঠ), নরওয়ে (সপ্তম), সুইজারল্যান্ড (অষ্টম), লুক্সেমবার্গ (নবম) ও নিউজিল্যান্ড (দশম)।
  
এবারের সুখী দেশের তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে কানাডা, ১৫তম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ১৯তম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। অপরদিকে যুদ্ধকবলিত ইউক্রেন রয়েছে ৯২তম অবস্থানে। আর ৭০তম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপালের অবস্থান ৭৮তম। পাকিস্তানের অবস্থান ১০৮তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১১২তম, ভারত রয়েছে ১২৬তম অবস্থানে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। 

অন্যদিকে সুখী দেশের তালিকায় এবার সবচেয়ে নিচে রয়েছে আফগানিস্তানের নাম। আগের বছরও এই তালিকায় সবার নিচেই ছিল আফগানিস্তান।

সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেয়া হয়।

   


পাঠকের মন্তব্য