এবার সিঙ্গাপুরের মতোই বড় বড় জাহাজ ভিড়বে পায়রা বন্দরে

চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

এবার সিঙ্গাপুরের মতোই বড় বড় জাহাজ ভিড়বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর পায়রা সমুদ্র বন্দরে। ইতিমধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে

আর এ সফলতার মধ্য দিয়েই পায়রা বন্দর দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজও রাবনাবাদ চ্যানেল দিয়ে পায়রা বন্দরের ভিড়তে পারবে বলে জানিয়েছেন পায়রা সমুদ্র বন্দর এর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

আজ ২৬শে মার্চ, রবিবার  দুপুরে পায়রা সমুদ্র বন্দরের সম্মেলন কক্ষে ড্রেজিং কার্যক্রম শেষে চ্যানেল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান (এমপি), ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুলের প্রকল্প পরিচালক জান মঈন ও বন্দরের স্কিম পরিচালক রাজিব ত্রিপুরাসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য  কর্মকর্তারা।

সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ড্রেজিংয়ের ফলে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দীর্ঘ এবং ১১০ থেকে ২০০ মিটার প্রস্থের চ্যানেলটির গভীরতা সাড়ে ১০ মিটারে উন্নীত হয়েছে, এর  ফলে প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল সহজে বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। ৪০ হাজার মেট্রিকটন পণ্যবোঝাই জাহাজের ক্ষেত্রেও কোনো ধরনের লাইটারেজের প্রয়োজন হবে না। এতে  বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শুধু ড্রেজিংই নয়, সমান তালে এগিয়ে চলছে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজ। মে মাসে বন্দরের প্রথম টার্মিনালের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়া বাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তারা মেনেটেইনেন্স ড্রেজিং করবে।

উল্লেখ্য, পায়রা সমুদ্র বন্দর দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর।  ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা বন্দরের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় এ বন্দরটি অবস্থিত। দক্ষিণের  জনপদের এ বন্দর দেশের অর্থনীতির সিংহভাগের যোগান দিবে এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।

পাঠকের মন্তব্য