ফরিদপুরে সুষম সার প্রয়োগ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত ক্রপ জোনিং প্রকল্পের খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা ও পেঁয়াজের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছ

২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ টায় সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুরসা গ্রামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের আয়োজনে এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এই মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের সদস্য পরিচালক ও কো-অর্ডিনেটর ডঃ মোঃ আবদুছ ছালাম। 

ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশিদ, ক্রপ জোনিং প্রকল্প বিশেষজ্ঞ ডঃ মোঃ আজিজ জিলানী চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বরিশালের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ বিমল চন্দ্র কুন্ডু, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আলাউদ্দিন খান, গাজীপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আখতার হোসেন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখার পাশাপাশি সঞ্চালনা করেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হাসান সোহেল। মাঠ দিবসে ৫০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে আমাদের দেশে পেঁয়াজের মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হলেও এর প্রায়। ২৫ ভাগ পেঁয়াজ পঁচে যায়। ফলে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। 

তারা বলেন, বর্তমানে আপনারা যে ইউরিয়া সার ২২ টাকায় কিনছেন সরকার তা আমদানি করে ৯৬ টাকায়। সরকার প্রতি বছর শুধু সারেই ভর্তুকি দিচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকা। আপনারা এই খামারি অ্যাপ ব্যবহারে করলে কোন ফসলে কি কি সার কি পরিমানে প্রয়োগ করতে হবে তা সহজেই জানতে পারবেন। অতিরিক্ত সার প্রয়োগ ফসলের জন্য ভালো নয়। আপাত দৃষ্টিতে ফসল ভালো হলেও তা বেশিদিন সংরক্ষণ করা যাবে না। সারের সুষম প্রয়োগ ফসল ভালো হয় এবং সংরক্ষণ করা যায় দীর্ঘদিন। তাছাড়া খরচ অনেক কম। 

পেঁয়াজ চাষে গতানুগতিক কৃষকের সারের খরচ শতাংশ প্রতি ১২৩ টাকা এবং ফলন- ৬৭কেজি পক্ষান্তরে খামারি অ্যাপ ব্যবহারকারী কৃষকের সারের খরচ শতাংশ প্রতি ৫৪ টাকা এবং ফলন ৭০ কেজি। 

এছাড়া অতিরিক্ত সার ব্যবহারে পেঁয়াজের সংরক্ষণ সময়কাল কমে যায়, মাটির গুনাগুন নষ্ট হয়। অতিরিক্ত স্যার ব্যবহারে গাছের বৃদ্ধি বেশি হয়, কিন্তু ফলন কমে যায়। উপস্থিত বক্তারা কৃষকদের পরিমিত সার ব্যবহারের আহ্বান জানান এবং "খামারি" মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেন।

   


পাঠকের মন্তব্য