কলারোয়ায় ৫দিনব্যাপী বাসন্তী পূজা উৎসব

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান

মহা সমারোহে কলারোয়ায় শুরু হয়েছে বাসন্তী পূজা। এ উপলক্ষে কলারোয়ার গেয়ালচাতরের পালপাড়া ও পরামানিকপাড়া এলণকায় সার্বজনীন শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোয়ালচাতর সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দিরের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক তাপস চন্দ্র পালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বাসন্তী পূজায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন-কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান। 

এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন-কলারোয় উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায়, এমপি প্রতিনিধি বাবু সন্তোষ কুমার পাল, উত্তম কুমার পাল, রনজিৎ কুমার দত্ত, সুধাংশ পাল, শিউলী রাণী শিকদার, পুতুল রানী, উত্তম কুমার ঘোষ, সোনা ঘোষ, অশোক কুমার চন্দ্রবর্তী, ডাঃ সঞ্জিব কুমার চ্যাটার্জী, নয়ন রঞ্জন কুমার, পরিমল পাল, প্রশজিৎ পাল, রনজিৎ কুমার দত্ত, রাম প্রসাদ, সুধাংশ পাল, পরিতোষ ঘোষ, রবিন পাল, অশিম কুমার পাল, সত্যপদ পাল, সুদীপ পাল, পূজা পাল, হাজু চন্দ্র পাল, দুলাল চন্দ্র, রামপ্রসাদ পাল, মুকুন্দ পাল, পরান চন্দ্র, নিত্য গোপাল পাল, দিলীপ চন্দ্র পাল, কালী পদ পাল, মহিতোষ পাল, চৈতন্য পাল, আনন্দ পাল, উৎপল পাল, উত্তম পাল, সুবোধ পাল, সুভাষ চন্দ্র, তাপস পাল, স্বপন কুমার, নিমাই চন্দ্র, আনন্দ পাল, কর্তিক রায়, গৌর পাল, রবিন পাল, দিপংকর পাল, শংকর পাল, সনাতন পাল, সত্যপদ রায় প্রমুখ। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে দেবী দুর্গা ধরাধামে পূজিত হন। বসন্ত কালে এ পূজার আয়োজন করা হয় বলে একে বাসস্তী পূজা বলে। মহাসপ্তমী চক্ষু দানের মাধ্যমে আবাহন করা হয়েছে দেবী দূর্গার। 

দেবী ও চন্ডীপাঠ করে সকালে সিংহবাহিনীর সপ্তমীবিহীত পূজা সম্পন্ন করা হয়। ঢাকের বাদ্য, কাশর ঘণ্টা, শাঁখ ও উলুধ্বনীর মাধ্যমে অষ্টমী, নবমী, দশমী পূজা সমাপনান্তে শেষ হবে। আসুরিক শক্তিকে পৃথিবী থেকে দুর করতে ষোড়শপচারে আরাধনা করা হয়েছে দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গার। দেবী দূর্গা ভক্তদের পাপ থেকে মুক্তি দিয়ে পৃথিবী থেকে আসুরিক শক্তির বিনাশের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করবেন-এই কামনায় এই তিথিতে দূর্গোৎসবের আয়োজন। 

সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ উৎসবে আনন্দে মাতোয়ারা সকলে। পুরাকালে মহারাজ সুরথ এ পূজার প্রচলন করেছিলেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে শ্রী রাম চন্দ্র শরৎকালে রাবন বধের উদ্দেশে দেবী দূর্গার আরাধনা করেছিলেন। তখন থেকে শরৎকালে শারদীয় দূর্গাৎসব পালন করে আসছেন হিন্দু ধর্মের মানুষ। এছাড়া মহাশক্তি দেবী দূর্গা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পূজিত হন।

   


পাঠকের মন্তব্য