হালুয়াঘাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৪০ বস্তা চাল উদ্বার

হালুয়াঘাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৪০ বস্তা চাল উদ্বার

হালুয়াঘাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৪০ বস্তা চাল উদ্বার

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গামারীতলা গ্রামের আক্রাম হোসেনের বাড়ি থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি ওজনের ৪০ বস্তা চাল উদ্বার করেছে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ৪০ বস্তা চাল উদ্বার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা হাসানের এর প্রতিনিধি সহকারী শিক্ষা অফিসার রতন দাস ও হালুয়াঘাট থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক আব্দুল করিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

স্থানীয়রা জানায় গামারিতলা বাজারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মোবাসের হোসেন ওরফে রিয়াদ কালোবাজারির মাধ্যমে চালগুলি বিক্রি করে অধিক মুনাফা করার জন্য গামারীতলা গ্রামের আক্রাম হোসেনের পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে উদ্বারকৃত চালগুলি মজুত করেন।

পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টেরপেয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন পালিয়ে যায়। জাহাঙ্গীরের মা জাহানারা খাতুন বলেন, আজ দুপুরে একটি গাড়ী দিয়ে চালগুলি তার বাড়িতে পাঠায়। চালগুলির মালিককে তিনি বলতে পারেননা বলে জানান।

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মোবাসের হোসেন ওরফে রিয়াদ এর সাথে মুঠোফোনে একাদিকবার কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি।

হালুয়াঘাট থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক আব্দুল করিম বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৪০ বস্তা চাল গামারীতলা গ্রামের আক্রাম হোসেনের পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে উদ্বার করে নিয়ে আসি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামাদুল ইসলামকে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর জদ্বকৃত চালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অস্বিকৃতি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষা অফিসার রতন দাস ও হালুয়াঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৩০ কেজি ওজনের ৪০ বস্তা চাল উদ্বার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য