লালমনিরহাট ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত 

লালমনিরহাট ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত 

লালমনিরহাট ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত 

ঋতুরাজ বসন্তেরও বিদায়ের দিন। বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে লালমনিরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড তিনদিঘী (মাঝাপারা)  চড়ক উৎসব অনুষ্ঠিত।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল)  বিকালে লালমনিরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড তিনদিঘী মাঝাপারা চরক পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিনকে চৈত্র সংক্রান্তি হিসেবে পালন করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বছরের শেষ দিনে চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে।  প্রতিবছরের মতো এবছরও লালমনিরহাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড তিনদিঘী মাঝাপারা  এলাকায়  চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়।  

চড়ক পূজা মূলত শিব ঠাকুরের পূজা, একে শিবের গাজনও বলা হয়ে থাকে। এ পূজায় অংশগ্রহণকারীরা চৈত্র মাস বাড়ির বাইরে শিব মন্দিরে অবস্থান করেন। এ সময় তারা লাল কাপড় পরে সন্ন্যাসীর মতো বিশেষ ভাবে জীবনযাপন করেন। তাদের ভক্ত বলা হয়ে থাকে। তারা শিব এবং গৌরী সাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাজনের গান গায়। মানুষ চাল-সবজি অথবা আর্থিকভাবে যতোটুকু সহায়তা দিয়ে থাকেন তা দিয়ে ভক্তরা নিজেদের খাবার খান এবং বাকিটা সঞ্চয় করে রাখেন। এই সহায়তা দিয়ে বছরের শেষ দিন অথবা পরে চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়।  

বর্শা খেলোয়ার মধুরঞ্জন বলেন আমি দীর্ঘ ১০ বছর থেকে এই বর্শা খেলা খেলিতেছি, আমার আনন্দ লাগে, এবং দর্শন  দর্শনার্থীদের আনন্দ উপভোগ দেই,আর একটা কথা এই খেলায় আমার পূর্বপুরুষ হতেই খেলে আসেন, তাই আমিও এই বর্শা খেলা সবজায়গা থাকার চেষ্টা করি।

চড়ক পূজার বিশেষত্ব হলো খালি পায়ে ভক্তরা আগুনের মধ্য দিয়ে হাঁটা-চলা করেন, পিঠে বিশাল আকারের বরশি গেথে চড়ক গাছে ঝুলে থাকেন।  এসব দেখতে প্রচুর সংখ্যক লোক ভিড় জমান। এবছরও প্রতাপগড় স্কুল মাঠে আয়োজিত এই পূজায় তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চিরাচরিত এই পূজা দিন দিন কমে আসছে। এই পূজা অনেক দুর্দান্ত থেকে দর্শন দর্শনার্থীরা আসেন।  

মেলা কমিটির সভাপতি  জানান, রঞ্জিত কুমার বলেন এই চরক মেলা আমার জানা মতে প্রায় ৫০ বছর ধরে এই বর্ষাকালে অনুষ্ঠিত হয। আমরা প্রতিবারের ন্যায় এবারও বর্ষাকালের আয়োজন করেছে , প্রতি বছর হিন্দু সপ্রদায়ের লোকেরা বাংলা সনের চৈত্রসংক্রান্তির পহেলা বৈশাখে প্রথম দিনেই বর্শা খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবারের ন্যায় এবার অনেক দোকানপাট ও দর্শন দর্শনার্থী আগমন অনেক বেশি। মনোহরী দোকানগুলোতেই বেশি ভাগ  শিশুদের মূল আকর্ষণস্থল।

   


পাঠকের মন্তব্য