পাইকগাছায় জমি বিরোধে সংঘর্ষে রক্তাক্ত জখম ১১ জন
পাইকগাছার চাঁদখালীতে ঈদের দিন দু'পক্ষের মারপিটে নারী-শিশু-বৃদ্ধ সহ ১১ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে দু'পক্ষের আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ৪ জনের শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানাগেছে, ভাই-ভাইয়ের পারিবারিক জমির বিরোধে কমলাপুরে এ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে
আহতরা হলেন- কমলাপুরের মৃত আতাহার সরদারের ছেলে জবেদ আলী সরদার (৬৫) তার ছেলে হারুন (৪০) জিহাদ আলীর ছেলে-বৌমা বেল্লাল (৩৫) ও হালিমা (৩২) দম্পত্তি, আজম আলীর স্ত্রী পারুল (৩০), আতাহার সরদারের ছেলে সুজাত সরদার (৬৫), ওবায়দুল সানার দু'ছেলে যুবরাজ ( ২২) ও দিপু সানা (১৪) ও প্রতিপক্ষের মৃতঃ জাফর সরদারের ছেলে জুলফিকার (৫৫) ও মোশাররফ হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আরাফাত (২২)। আহতদের কারোর মাথা, নাখ-মুখ ও ঠোঁট, হাত-পা রক্তাক্ত জখম হয়েছে ।
এদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুজাত, যুবরাজ, দিপু ও মোশাররফ সরদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি জবেদ আলী সরদার জানান, বিগত ৩০ বছর পূর্বে ৪ ভাইয়ের নামে ভিটে-বাড়ীর ২৮ শতক জমি ক্রয় করা হয়। ৩ ভাইয়ের সিদ্ধান্ত মতে এ জমিতে ছোট ভাই সুজাত কে বসবাস করার সুযোগ দেয়া হয়। ভাইরা সকলে শান্তিতে ছিলাম। কিন্তু ৩ বছর পূর্বে বড় ভাই জাফর আলী সরদারের মৃত্যু হলে অশান্তি শুরু হয়। তার ছেলে নুরুল, জুলফিকার, মোশাররফ গংরা পূর্বের বাপ-চাচাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এ জমিতে দখলে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে গত কার্তিক মাসে তারা এ জমির দখল নেয়। জবেদ আলী অভিযোগ করেন, কোন পরিমাপ ছাড়া ঈদের দিন সন্ধ্যার পূর্বে জুলফিকার গংরা আমাদের দখলীয় জমির উপর ড্রেন ও ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেওয়া হয়। এ সময় জুলফিকার, আরিফুল, নুরুল, রুহুল গংরা পরিকল্পিত ভাবে দা- শাবল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও মারপিট করে আমাদের মাথা নাক-মূখ, ঠোঁট ফাঁটিয়ে জখম করে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের জফর সরদারের দু' ছেলে জুলফিকার ও মোশাররফ হোসেন জখম হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের এ ঘটনায় ঈদের দিন বাড়ীতে আসা উভয়পক্ষের আত্মীয় স্বজনরা মারপিটে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে পুলিশ মারপিটে জড়িত মোশাররফ সরদারের ছেলে আরিফুল (২০) ও জুলফিকারের ছেলে মোঃ সুফার সরদারকে আটক করেছেন। তবে চাচাদের অভিযোগ সম্পর্কে রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুলফিকার অভিযোগ ছিল চাচা ও তাদের আত্মীয়রা আমাদের মারপিট করে আহত করেন। কিন্তু রবিবার সকালে তাকে আর হাসপাতালে দেখা যায়নি।
এদিকে, এ ঘটনায় থানায় মামলার তথ্য দিয়ে অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ২ বক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পাঠকের মন্তব্য