পাইকগাছায় আগুনের ভস্মিভূত একটি পরিবারের স্বপ্ন

পাইকগাছায় আগুনের ভস্মিভূত একটি পরিবারের স্বপ্ন

পাইকগাছায় আগুনের ভস্মিভূত একটি পরিবারের স্বপ্ন


দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের দাবি 

পাইকগাছায় আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মিভূত একটি পরিবারের স্বপ্ন। আগুনে পুড়েছে  বসতঘর, রান্না ঘর, গোয়াল ঘর ৩টি সম্পূর্ণ এবং অর্ধেক ধানের গোলা ভস্মীভূত হয়েছে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা না গেলেও স্থানীয় ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, আব্দুল ওহাব গাজীর ১৪ বছরের নাতনি রাইচ কুকারে ভাত রান্না করছিল। কিন্তু কুকারের তারে লুচ কানেকশন থাকায় তারে আগুন ধরে যায়। যে আগুন পাশে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে লাগলে তা ব্লাষ্ট হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে রান্না ঘরের বেড়া ও চালে। অনেক বলছে ফ্যানের তারের থেকে সর্ট সার্কিট হয়ে আগুন ধরে যায়। 

যেটাই ঘটুক ঘরগুলো ছিল কাঠের বেড়া ও গোলপাতার ছাউনি। এসময় বাড়ীতে অন্য কেউ ছিল না। ফাঁকা বসত বাড়ী। লোকজন আসলেও আগুনের লেলিহান শিখায় এতটাই ভয়াবহ যে ২০-৩০ হাত দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। লোকজনের করার কিছু ছিল না। চেষ্টাই হলো সার। মঈন সানাদের পরণে পোশাক ছাড়া আর কিছুই রইল না। যারা নিভানোর চেষ্টা করছিল তাদের মধ্যে  প্রতিবেশী আতোষ গাজী (৪৮)  দুগ্ধ হয়েছে। তাকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় এসকল ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৌখালী গ্ৰামের আব্দুল ওহাব সানার বাড়ীতে। তাঁর ছেলে মঈন সানা পেশায় কাঁচা মালের ব্যবসায়ী। 

পরিবারের লোকদের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয়রা জানায়, গরু বিক্রির নগদ  ১লাখ টাকা, টিভি, ফ্রীজ, গ্যাসের সিলেন্ডার, আন্যান্য আসবারপত্র সহ সহ ৬-৭ লাখ টাকার  ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু'বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ অনুযোগ আজ যদি পাইকগাছায় একটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকত। তাহলে হয়তো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। বেচারা সর্বশান্ত তো হতো না। আশেপাশের সব উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলেও কেবল আমাগে নেই। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

এঘটনায় স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্যাহ আল মামুন, ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান, মোঃ কাইয়ুম হোসেন, সচিব জিএম আব্বাস উদ্দীন, পিআইও অফিসের সুজয় মিস্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

থানা ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এ সংক্রান্ত  জিডি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, ঘটনা টি দুঃখজনক। জানতে পেরে তাক্ষণিক পিআইও কে সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

   


পাঠকের মন্তব্য