সোনারগাঁয়ে চাঁদার দাবিতে শিক্ষা প্রকৌশলীকে মারধর 

উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল হক

উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল হক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদার দাবিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক প্রকৌশলীকে মারধর ও প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার পেরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলার ছাদ ঢালাই চলাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল হককে পিটিয়ে আহত করে ও হুমকি ধামকি দেয় রিয়েল মোল্লা ও সাব্বির দেওয়ান নামে দুই স্থানীয় সন্ত্রাসী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্যের বরাদ্দকৃত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পেরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কাজ  চলছে প্রায় তিন মাস ধরে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল।

সেই কাজের গুনগত মান সংরক্ষণ ও তদারকির কাজ করছিল উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল হক। ঢালাই কাজ প্রায় শেষের দিকে আসলে বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে পেরাব গ্রামের জহিরুল মোল্লার ছেলে রিয়েল মোল্লা এবং আমবাগ গ্রামের বাদল দেওয়ানের ছেলে সাব্বির দেওয়ান স্কুল এলাকায় ঢুকে কাজ বন্ধ করে দেন।

তারা প্রকৌশলীকে মারধর করেন। এসময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য ও শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা প্রকৌশলীকে রক্ষা করতে পারেনি। পরে প্রশাসন ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আরিফুল হককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়৷

এ বিষয়ে পেরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  আব্দুল মতিন বলেন, স্কুলের ছাদ ঢালাই চলাকালীন দুজন স্থানীয় উশৃংখল ও মাদকসেবীরা কাজে বাধা প্রদান করে। ইঞ্জিনিয়ারকে মারধর করে এবং আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।কাজের অসঙ্গতির কথা বলে তারা চাঁদার দাবি করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা আগে থেকেই প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রহমান ট্রেডার্সের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।চাঁদার টাকা না পেয়ে বৃহস্পতিবার প্রকৌশলীর ওপর হামলা করে।

ওই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় আহত প্রকৌশলী বাদি হয়ে মামলা করেছেন।আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন।

   


পাঠকের মন্তব্য