গড়ইখালীতে সোনালী ধানসহ তরমুজ তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা 

গড়ইখালীতে সোনালী ধানসহ তরমুজ তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা 

গড়ইখালীতে সোনালী ধানসহ তরমুজ তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা 

পাইকগাছার কৃষিতে সমৃদ্ধ গড়ইখালী ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে হাজর-হাজার বিঘার সবুজ ফসলের ক্ষেত দেখে দু'চোখ জুড়িয়ে যায়। চারিদিকে শুধু সোনালী ধান, লোভনীয় তরমুজ, ঢেঁড়শ, উচ্ছে, মিষ্টি আলু, সূর্য্যমুখী, পুঁইশাক সহ নানা ধরনের সবজি তুলতে ও পরিচর্যা করতে কৃষাণ-কৃষানীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এক প্রকার নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছে। 

এক এক ক্ষেতে নারী, পুরুষ, শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত ৩০/৪০ জনের সারি বদ্ধ দীর্ঘ লাইন দিয়ে ট্রাকে তরমুজ উঠাচ্ছে। 

সারা দিনের ক্লান্তি শেষে হাতে যখন অর্জিত অর্থ পান। তাদের  আনন্দের সীমা থাকে না। দেখা মেলে তৃপ্তি হাসি। বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমে বাইনবাড়ীয়া, হোগলারচক, আমিরপুর, কুমখালী, কানাখালী পাতড়াবুনিয়া  ও পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলার চান্নিরচক, চন্ডীপুর, কিনুকাটি সহ বিভিন্ন মাঠের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরমুজ  ট্রাক যোগে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে লোড দিচ্ছে। 

একাধিক তরমুজ চাষির জানান, খরা ও শিলা বৃষ্টিতে বেশ কিছু চাষির তরমুজের উৎপাদন আশানুরুপ হয়নি। তবে অধিকাংশ চাষিরা লাভবান হয়েছে। বাইনবাড়ীয়ার তরমুজ চাষী সুভাষ মিস্ত্রী ও সুব্রত মিস্ত্রী  প্রজন্মকন্ঠের এ প্রতিবেদককে জানান, জমির হারী, বীজ-সার, সেচ কীটনাশক সহ বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি তরমুজের ক্ষেত বিক্রি হয়েছে সর্বনিন্ম ২০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কৃষকদের অভিমত প্রতি বছরে দো-ফসলী এ এলাকার মানুষ শ্রমঘন শিল্প বিশেষ করে ধান চাষসহ তরমুজ ও  বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে এলাকার কৃষকরা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছে। তেমনি দেশের কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন।  

এ বিষয়ে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস ছালাম কেরু মিষ্টি পানির স্বপক্ষে মতামত করে জানান, এলাকার কৃষি খাতকে মজবুত করতে ঘোষখালী বদ্ধ নদীর (শান্তার গোড়ায়) বাঁধ দিয়ে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে রবি মৌসুমের ধান, তরমুজসহ সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। বিশেষ করে পানি সেচে প্রসঙ্গে তিনি আরোও বলেন, গত বছর কৃষকদের পাশে থেকে ও স্থানীয় এমপি'র হস্তক্ষেপে পল্লী বিদ্যুৎ এর জরিমানার টাকা গুণতে হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেনের সমস্যার কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের প্রভাব নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ক্রমে দেশের সকল পতিত জমি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে হবে। এজন্য প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ, সার ও বীজ দেওয়া হয়। তাঁরই সুফল পাচ্ছে কৃষকরা।

   


পাঠকের মন্তব্য