পর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা; ভাংচুর ও লুটপাট

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পুর্বকান্দি গ্রামে পূর্ব শুত্রুতার জেরে  প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও নগদ টাকাসহ মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে চারজন ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেনে। এ ঘটনায় মামুন সরদার বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সুত্রে জানাযায়, সদরপুর থানাধীন বাড়ের হাট বাজারে সার ও কীটনাশক ঔষধ এবং ভুষি মালের ব্যবসা করিয়া আসিতেছে মামুন। বিবাদীদের সহিত বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে পূর্ব হইতে শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। সেই সূত্র ধরিয়া গত ২৩/০৪/২০২৬ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত বিবাদীরা রামদা, ছ্যানদা, চাপাতি, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার বসতবাড়ীতে প্রবেশ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। 

তখন আমি, আমার পিতা ফয়েজ আহম্মদ সরদার (৭০) ও আমার ছোট ভাই এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী সুমন সরদার (২৬) ও মোঃ ফারুক সরদার (৫২), আমার ভাতিজি নাজমা বেগম (৩২) পিতাঃ গোপাল সরদার বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করায় বিবাদীদের সাথে আমাদের কথাকাটা হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যাযয়ে বিবাদী শওকত মাতুব্বরের হুকুমে ফজলু মোল্যার হাতে থাকা ছ্যনদা দিয়ে আমার ভাতিজি নাজমা বেগমকে কোপ দেয় এতে সে গুরুতর জখম হয়। এ সময় বিবাদী জিন্নাত মোল্যা আমার ভাতিজি নাজমা বেগমের গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। 

বিবাদি গিয়াসউদ্দিন মোল্যার হাতে থাকা রামদা দিয়া আমার ছোট ভাই সুমন সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিযা কোপ মারিলে উক্ত কোপ তাহার ডান পাশের চোখের উপরে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। বিবাদি মোঃ শওকত মাতুব্বর এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার পিতা ফয়েজ আহম্মেদ সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে উক্ত বারি সে বাম হাত দিয়া ঠেকাইলে তাহার হাতের কব্জির উপরে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম হয়। 

বিবাদী নজরুল মোল্যা ও আমার ভাতিজি নাজমা বেগমকে এলোপাথারীভাবে কিলঘুষি মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয় ও পরনের কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময ১নং বিবাদী শওকত মাতুব্বর বিবাদী কুতুবদ্দিন মোল্যা বিবাদী আনন্দ মোল্যা বিবাদী লুৎফর মোল্যা আমাদের বসত ঘরে জোর পূর্বক প্রবেশ করিয়া শো-কেচের ড্রয়ারের মধ্যে থাকা জমি ক্রয় করার জন্য রাখা ১,৯০,০০০/- টাকা লুট করিয়া নেয় এবং যাওয়ার সময় বিবাদী আমিনুল মোল্যা সকল বিবাদীগন আমার ঘরে থাকা ড্রেসিং টেবিল ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করিয় অনুমান ৪৫,০০০/- টাকা ক্ষতি সাধন করে। 

এ সময় আমাদের স্থানীয় কায়উম সরদার (৫০)  রাকিবুল সরদার (২৫) ইনজেদ্দিন মোল্যা (৬৫) সহ আরো লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাদেরকে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। আমাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সাক্ষীদের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য মাইক্রোবাসযোগে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হইলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ভাতিজি নাজমা বেগম, আমার পিতা ফয়েজ আহম্মেদ শেখ ও আমার ভাই সুমন সরদার এবং ৪নং সাক্ষী সোনা মিয়া শেখকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। 

বর্তমানে বিবাদীরা এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমাকে অব্যাহত ভাবে হুমকি ধামকি দিয়া আসিতেছে। বিবাদীদের হুমকির ভয়ে আমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করিতে পারিতেছি না এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। 

এ বিষয়ে গিয়াসউদ্দিন মোল্লার সাথে যোগাযোগের নানা চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত গোলদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানা, মারামারির একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। 

   


পাঠকের মন্তব্য