কলারোয়ায় মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের নামে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আমলী আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা হওয়ায় তার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪মে) উপজেলা পরিষদে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড তুলসিডাঙ্গা গ্রামের মৃত সোনা কাজীর ছেলে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা তার লিখিত বক্তব্য বলেন-প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমি বর্তমানে কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে সুনামের সহিত বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু তরিকুল ইসলাম, পিতা-আবু দাউদ, সাং-জালালাবাদ। আমার আগামী চার বছর যাবৎ ব্যবসায়ীক পাটনার। তার সহিত আমার ধান, চাল সহ দাউদ মটরস্ এর পাটনার হিসাবে ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি।
এক পর্যায়ে আনুমানিক দেড় মাস পূর্বে আমার ব্যবসায়ীক পাটনার তরিকুল ইসলাম আমাকে না জানিয়ে উক্ত দাউদ মটরস্ এর ডিলার সহ যাবতীয় ব্যবসা স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান, পিতা-আব্দুল খলিল, সাং-পুটুনী এর নিটক বত্রিশ লক্ষ ত্রিশ হাজর টাকার উক্ত ব্যবসাটি বিক্রয়/হস্তান্তর করিয়া দেয়। বিষয়টি আমি প্রাথমকি পর্যায়ে জানতে পারি নাই। আমি একদিন তরিকুল ইসলামকে আমার উপজেলা অফিসে ডাকিয়া ব্যবসায়ের হিসাব নিকাশ করার কথা বলাকালে মোখলেছুর মেম্বর নামক একজন ব্যক্তি তরিকুলকে উদ্দেশ্যে করিয়া উক্ত দাউদ মটরস্ বিক্রয় করার কথা বললে, ঐসময় আমি বিষয়টি জানিতে পারি। তখন আমি তরিকুলকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করিলে সে অস্বীকার যায়। তখন আমি তাৎক্ষনিক সত্যতা যাচাই করার জন্য স্থানীয় কলারোয়ার বহু ব্যবসায়ীর নিকট খোঁজ খবর নিয়ে এবং জিয়াউর রহমানের নিকট ফোন করিয়া শোরুমটি বিক্রয়ের সত্যতা জানিতে পারি। ঐসময় আমি জিয়াউর রহমানকে আমি মোবাইল ফোনে আমার অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দিই।
তখন জিয়াউর রহমান তরিকুলের নিকট হইতে শোরুমটি ক্রয় করিয়াছে বলিয়া আমাকে জানালে আমি জিয়াউর রহমানকে অনুরোধ করি বিগত আনুমানিক সেম্পেম্বর/২০২২ মাসে তরিকুল ইসলাম আমার নিকট উক্ত দাউদ মোটরস্ শোরুমটি বিক্রয় করিয়া দেয় এবং লিখিয়া দেয়। তখন জিয়াউর রহমান আমাকে বলে যে, যেহেতু আপনি আগে ক্রয় করিয়াছেন, সেহেতু উক্ত শোরুমটি আমি পাইবো না বা দাবী করিতে পারিবো না। জনৈক তরিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী আদালতে-৪ এ আমার নামে চাঁদাবাজীর মামলা করেছেন আমি জানতে পারি।
প্রকৃত পক্ষে উক্ত তরিকুলের সাথে দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে ব্যবসায়ীক লেনদেন আছে। এমনকি নভেম্বর/২০২২ মাসে পূর্বে মেসার্স দাউদ মটরস এর মালিক তারিকুল আমার নামে উক্ত শোরুম লিখে দিয়ে মালিকানা হস্তান্তর করেন। সর্বশেষ কলারোয়া উপজেলার লোহাকুড়া মৌজায় তরিকুল ইসলাম তার নিজ নামে নয় শতক জমি ক্রয় করেন। সেই জমি বিক্রয় করার ঘোষণা করিলে জমি নগদ টাকা দিয়ে উভয় পক্ষের স্বাক্ষীদের সামনে বায়না পত্র করি।
আমি অতি সম্প্রতি লক্ষ্য করালাম যে, গত ইং-১১/০৫/২০২৩ তারিখে সমাজের আলো, নিউজ অফ কলারোয়া ও এসএম নিউজ অনলাইন পোর্টালে আমার নিয়ে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হেয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এর নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আমি আপনাদের লেখনির মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মহোদয়, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় কর্তৃক সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
পাঠকের মন্তব্য