রায়পুরে কিছুতেই থামছে না গরু চুরি

রায়পুরে কিছুতেই থামছে না গরু চুরি
অভাব মানুষের নিত্যসঙ্গী।অভাবের সংগে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে গ্রাম বাংলার মানুষ। অভাবকে মুছতে গৃহস্থরা চেষ্টা করছে নানা ভাবে। গবাদি পশুপাখি লালন করা গ্রাম বাংলার একটি চিরন্তন অভ্যাস যেমনি, তেমনি তা হয়ে উঠে অসহায় মানুষের দুঃখের সম্বল। কিন্তু সে সম্বল যদি নিজের অজান্তে চুরি হয়ে যায়, তাহলে অসহায় পরিবারের আশাটুকুই নিঃশেষ হয়ে যায়।
গত কিছুদিন ধরে এমনি করে কিছু পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে তাদের গবাদি পশু হারিয়ে। লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা জুড়েই চলছে সিন্ডিকেটে গরু চুরি। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে গত এক মাসে শতাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।এতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকা।
অনেক পরিবার আসন্ন কুরবানি উপলক্ষ্যে ধার দেনা করে গরু পালন করে। কুরবানে তারা মোটা অংকের ব্যবসায়ের আশায় তারা অর্থ লগ্নি করে। কিন্তু এক বা একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র প্রায় প্রতি রাতেই গরু চুরি করছে।এতে আশাহত অনেক পরিবার,আবার অনেক পরিবার হয়ে পড়ছে নিঃস্ব।
গরু চুরির এমন ঘটনায় স্থানীয়দের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে নির্দিষ্ট কোন প্রমানের অভাবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছে, তাদের ভ্রাম্যমাণ দল প্রতি রাতেই পাহারা দিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগনের সহায়তাও কামনা করছেন।
যে যাই বলুক বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে দামী প্রানী গরু আর এর চাহিদাও তুংগে। আসন্ন কুরবানে গরুর ব্যাপক চাহিদার কারনে গরু পালনে বাধাগ্রস্ত হলে তা উপজেলার সবার জন্যই উদ্বেগের। তাই সবার সম্মিলিত চেষ্টাই হতে পারে গরু চুরি প্রতিরোধে একমাত্র সমাধান।
পাঠকের মন্তব্য