প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি; জামালপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

জামালপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার অপর আসামীরা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম,সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী হারুনুর রশিদ।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বাদী হয়ে জামালপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগটি এজেহার হিসেবে গ্রহন করে পরবর্তী দুই দিবসের মধ্যে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা ও আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন। মামলাটি পরিচালনা করছেন এডভোকেট বাকী বিল্লাহ।
মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির জনসভায় প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ জামালপুরের বিএনপির নেতৃবৃন্দ জামালপুরে জন সমাবেশ থেকে একই ধরনের বক্তব্য দেয়।
ইতিমধ্যে রাজশাহীর বিএনপির নেতা চাঁদের বিতর্কীত বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে মানুষের হাতে হাতে। আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্য আমার ভালো লাগেনি। আমার কাছে এটা অপরাধ মনে হয়েছে। এ কারণে তিনি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার কারিগর দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে এমন হিংস্র মন্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা জানাই এবং একই সাথে আমি ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য বিএনপি নেতা চাঁদকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, যে কোন সময় ও যেকোন অজুহাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা হত্যা করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ আইনে ৪ ও ৫ ধারায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, রাজশাহীর ঘটনার সাথে জামালপুরের জন সমাবেশের বিন্দুমাত্র যোগসুত্র নেই। এই সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকীর মতো কোন বক্তায় বক্তব্য দেয়নি। আন্দোলনকে ভীন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ষড়যন্ত্রমুলক মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আমাদের আসামী করা হয়েছে। মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এই বিএনপি নেতা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ মে) পুঠিয়ার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাইদ।
পাঠকের মন্তব্য