ফুলপুর ভাইস চেয়ারম্যান আনিছের নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস 

ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ

ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদ এর বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ এর বিরোদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমীন (মনি) গত ২১/৫/২৩ ইং তারিখ রোজ রবি বার ফুলপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷  

জানা যায়- আনিছুর রহমান আনিছ পিতা-আলাল উদ্দিন সাং আমুয়াকান্দা ১২/১০/২০১৫ ইং নিলুফার ইয়াসমীন পিতা- আব্দুল মতিন তালুকদার সাং-তারাকান্দা (তালুকদার বাড়ি) এর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ২০ লক্ষ টাকার রেজিষ্ট্রী কাবিন মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷ বিবাহিত জীবনে তাদের মোটামুটি ভালোই কাটছিলো। তাদের দুই জনের অবনী (৬) নামে একটি মেয়ে সন্তানও আছে।

অভিযোগে প্রকাশ,প্রায় ৩ বছর যাবৎ আনিছ তার ২য় স্ত্রী সন্তানকে ভরন-পোষন করে না। এ সুযোগে সে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী ও ২ সন্তানের মা তাছলিমার সাথে পরকিয়া শুরু বলে তার ২য় স্ত্রী নিফুলা ইয়াসমিন ফুলপুর থানায় জিডি এন্ট্রি করেন৷

তিনি অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন- আনিছুর রহমান  দীর্ঘদিন যাবৎ পরনারীতে আসক্ত হয়ে পরকিয়ায় লিপ্ত থাকতেন, তার স্ত্রী এ সবের প্রতিবাদ করতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি,মারধোর ও তার ৬ বছরের অবনীকে সহ মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি ধমকিনসহ নানান ভয় ভীতি প্রদর্শন করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার কথা বলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো৷ 

তারই সূত্র ধরে তাসলিমা খাতুন, পিতা- কাজিম উদ্দিন সাং- রামসোনা, (ছন্ধরা) থানা- ফুলপুরকে আনিছুর রহমান বিবাহ করার সংবাদ শুনার পর তার আগের স্ত্রী নিফুলা ইয়াসমিন ও তার মেয়ে অবনীর জীবন অনিশ্চয়তার ভিত্তিতে ফুলপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে তার ২য় স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমিন এই প্রতিনিধিকে জানান৷

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি তদন্তে গাজীপুর এবং ময়মনসিংহের কতক সাংবাদিক অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান আনিছের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ৪ বছর আগে তাছলিমাকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করলেও তার ২য় স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমীন মনির অভিযোগ সম্পর্কে কোন ষ্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি।

উল্লেখ্য,ভাইস চেয়ারম্যান আনিছের অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারী ও লাম্পট্যতার ঘটনা ফুলপুরে ওপেন সিক্রেট জানলেও অবৈধ রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এতোদিন কেউ মুখ খুলেনি। তাঁর ২য় স্ত্রীর অভিযোগের পর ক্রমশঃ তা লোক মুখে আলোচিত হচ্ছে। এ ঘটনাটি বর্তমানে ফুলপুরে টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে, লোকমুখে হাস্য রসাত্মক গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে।

এ ব্যাপারে ফুলপুর থানার মানবিক ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জিডির সত্যতা স্বীকার করেন এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে এএসপি ফুলপুর সার্কেল দীপক মজুমদার তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

   


পাঠকের মন্তব্য