প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ  

প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম

প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চড়াইকোল স্টেশন বাজারে আত্ তাক্বওয়া ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীদের মাসিক বেতনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নেবার অভিযোগ অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানের কোন হিসাব দেননি বলে অভিযোগ করেন অত্র মাদ্রাসার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এবং হিসাব না দিয়ে বেতনের দাবি করছে ঐ প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয় সূত্রে  জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার পাংশার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের আজব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম প্রায় দেড় বছর যাবত চড়াইকোল স্টেশন বাজারে  আত্ তাক্বওয়া ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করে আসছিলেন। 

প্রধান শিক্ষক নিজেই সকল ছাত্র/ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে মাসিক বেতনসহ অন্যান্য টাকা পয়সা আদায় করতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে ঠিকমত হিসাব হিসাব নিকাশ না দেওয়াই ।প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রাজু আহমেদ বিষটি বুঝতে পারলে তার কাছে বারবার  হিসাব চাই এবং উক্ত আদায়কৃত টাকা প্রতিষ্ঠান জমা দিতে বলিলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন ঐ প্রধান শিক্ষক। কিন্তু প্রধান শিক্ষক উক্ত হিসাব ও টাকা জমা না দিয়ে প্রতিষ্ঠান অপপ্রচার চালানোর হুমকি প্রদান করেন। গত ১০/০৫/২০২৩ ইং তারিখে  কিছু লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায়  প্রতিষ্ঠানে  হাজির হয়ে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং বেতন দাবি করেন।

এক অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে তিনি হাবাসপুর জামে মসজিদে ইমাম হিসাবে চাকুরী করছেন

উক্ত ঘটনায় চড়াইকোল তাক্বওয়া ইসলামীয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রাজু আহমেদ জানান প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক  সিরাজুল ইসলাম প্রায় দেড় বছর প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।   

প্রতিষ্ঠান নিয়ম অমান্য করে সকল ছাত্র/ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে টাকা কালেকশন করেন রিসিভ ছাড়াই  মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফিস/সহ অন্যান্য টাকা প্রধান শিক্ষক  নিজেই আদায় করতেন। বেতন কালেকশন করে প্রতিষ্ঠানে কোন হিসাব না দিয়েই বেতন দাবি করে।হিসাব চাইলে সে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাবি করে। 

ও বিভিন্ন মহলে মিথ্যা প্রচার করে প্রতিষ্ঠানের ও আমার মান ক্ষুণ্ণ করছেন।প্রতিষ্ঠানের হিসাব নাদিয়ে গাও ঢাকা দিয়ে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের  কাছে না জানিয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবৎ।

এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাদরাসার পরিচালক রাজু আহমেদ বাদিহয়ে কুমারখালি থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিষয়টি নিয়ে।

কুমারখালী থানার ওসি মহসিন হোসাইন জানা, থানাতে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য