বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন   

জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার

জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির পিতা। তিনি নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়েছেন। 

মানবতাবাদী এই নেতা শাসকের শোষণ ও বঞ্জনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতিকে তিনি পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত। তাই ১৯৭৩ সালের ২৩ মে এই মহান নেতাকে 'জুলিও কুরি' শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর এই অসামান্য স্বীকৃতি প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৮ মে রবিবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনন্দ আয়োজন করা হয়।

কবি জসিম উদ্দীন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের "জুলিও কুরি" শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়াছিন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোঃ শাহজাহান, সারকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কাজী গোলাম মোস্তফা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিঞ্চু পদ ঘোষাল প্রমুখ। 

প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি ৫৪ বছর ৬ মাস ৭ দিন বেঁচেছিলেন। দুঃখী মানুষের কথা বলতে গিয়ে তিনি ৪ হাজার ৬ শত সাতাশি দিন কারাগারে ছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা। ঐ সময়ে বঙ্গবন্ধু যতগুলো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সব জায়গায় তিনি শান্তির কথা বলেছেন। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করেছেন। তাই তাকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। এটি বাঙালি জাতির একটি বড় প্রাপ্তি। এটি আমাদের গর্বের। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

আলোচনা সভা শেষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন ও বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। 

 

   


পাঠকের মন্তব্য