রাজবাড়ীতে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়

বৃষ্টির আশায় দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায়

বৃষ্টির আশায় দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রাজবাড়ীতে বৃষ্টির আশায় দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় শেষে বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। অসহনীয় গরম আর তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষগুলো এ সময় স্বস্তির বৃষ্টির আকুতি জানিয়ে মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

বৃহস্পতিবার(৮ মে) সকাল সাড়ে ৭ টায় জেলার সদর উপজেলার পাচুঁরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার মাঠে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র ও এলাকাবাসীসহ পাঁচ শতাধিক মুসল্লী অংশগ্রহণ করে।এ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বা পানির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

এতে ইমামতি করেন ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল এরশাদ মোহাম্মদ সিরাজুম্মনির।নামাজের আগে মুসল্লিদের সব নিয়মকানুন শিখিয়ে দেন তিনি।এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই।পরে নামাজের পর খুৎবা পাঠ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি।

সরেজমিনে ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার মাঠে গিয়ে দেখা যায়,পাঞ্জাবি-টুপি পরে জায়নামাজ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অংশ নিয়েছে।এছাড়াও বিশেষ এই নামাজে অংশ নিয়ে স্থানীয়রা।শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষেরা নামাজে অংশ নেই।নামজ শেষে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

স্থানীয় মো.ইউনুস আলী বলেন,বর্তমান আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি পর্যন্ত বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে।আজকে আমরা ভান্ডারিয়া মাদ্রাসার আহবানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করলাম।আল্লাহর দরবারে দোয়া করলাম যেনো বৃষ্টি হয়।

মাদ্রাসার আলীম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো.তানিমুর রহমান বলেন,সারা বাংলাদেশই অসহনীয় গরম পড়েছে।অনেকদিন ধরেই বৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছেনা।তীব্র এই গরমে শুধু মানুষ না পশুপাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে।তাই আমরা রসূল(সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম।বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম।

ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল এরশাদ মোহাম্মদ সিরাজুম্মনির বলেন,সারা বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে চলছে।বিশেষ করে আমাদের দেশে ধারণাতীত ভাবে তাপমাত্রা বেড়াছে। এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াতে মানুষসহ পশুপাখির জন্য কষ্ট হচ্ছে।তাই বৃষ্টির জন্য আমরা বিশেষ নামাজ আদায় করেছি।আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, ভিক্ষা চেয়েছি। তিনি যেন আমাদের সবার গুনহা ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের মাঝে বৃষ্টি দেন।

   


পাঠকের মন্তব্য