আস‌ছে ডিজিটাল ব্যাংক, শাখা ছাড়াই হবে লেনদেন

আগামী বোর্ড সভায় ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন

আগামী বোর্ড সভায় ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন

সব কিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগামী বোর্ড সভায় ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন হ‌বে। শাখা ছাড়াই চল‌বে এই ব্যাংক। সব পর্যায়ের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে চালু হবে ডিজিটাল ব্যাংক। প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১৫০ কোটি টাকা। ডিজিটাল এই ব্যাংকের রূপরেখা ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ।

এর আগে গত ১ জুন প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টাকে প্রসারিত ও ত্বরান্বিত করতে একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এ নীতিমালা ও ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ীই পরিচালিত হবে ডিজিটাল ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন হলেই স্মার্ট বাংলাদেশ অভিমুখে ব্যাংকের যাত্রা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা ও নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে। তা আগামী ১৪ জুন বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হ‌বে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল ব্যাংক কি ? 

ডিজিটাল ব্যাংক হলো একটি ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং প্রণালী যেখানে সকল ব্যাংকিং কার্যকলাপ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবহার করে ব্যাংক কাস্টমাররা ইন্টারনেট, মোবাইল এপ্লিকেশন বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে সমস্ত ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড সহজে ও সুরক্ষিতভাবে সম্পাদন করতে পারেন।

ডিজিটাল ব্যাংক এর মাধ্যমে করা যেকোনো ব্যাংকিং কার্যকলাপ নিম্নলিখিত অংশগুলো সম্পাদন করা হয়- 

একাউন্ট খোলা ও সংরক্ষণ: ব্যাংক কাস্টমাররা ডিজিটাল ব্যাংক এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে নিজেদের একাউন্ট খুলতে পারেন এবং সমস্ত একাউন্ট সংশোধন করতে পারেন। তারা একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা, ট্রান্সফার করা, পেমেন্ট করা যাবে এবং অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যকলাপ পরিচালনা করা যাবে। 
  
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার: ডিজিটাল ব্যাংক এর মাধ্যমে ব্যাংকিং কাস্টমাররা অন্য ব্যাংক একাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন এছাড়াও বিল পেমেন্ট করা যাবে এবং অন্যান্য লেনদেন সম্পাদন করা যাবে।    
 
ই-ব্যাংকিং সেবা: ডিজিটাল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কাস্টমাররা নিজের ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে তথ্য পাবেন, ট্রানজেকশন হিস্ট্রি চেক করাসহ চেকগুলি ডিপোজিট করতে পারা, লোন সরবরাহ পেতে  এবং ব্যাংকিং সেবা প্রাপ্ত করতে পারেন। 

ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবহার করে ব্যাংকিং কাস্টমাররা সময় এবং কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপ পরিচালনা করতে পারেন এবং অস্থায়ী সাধারণ দোকান বা শাখা ভিজিটের প্রয়োজন হবে না; সাশ্রয় হবে সময় এবং প্রয়োজনীয় সংস্থার লাভ পাওয়া যায়। এছাড়াও, ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রণালীটি ব্যাংকিং কার্যকলাপ সহজ ও সুরক্ষিত করে এবং ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত ব্যাংকিং অপারেশন সুসংগঠিত করবে। 

   


পাঠকের মন্তব্য