নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির আতঙ্ক এখন তৃণমূল বিএনপি

তৈমুর আলম  খন্দকার এবং শমসের মবিন চৌধুরী

তৈমুর আলম  খন্দকার এবং শমসের মবিন চৌধুরী

আজ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তৃণমূল বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই কাউন্সিল অধিবেশনে বিএনপির সাবেক দুই নেতা তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেবেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এরা দুজন হলেন তৈমুর আলম  খন্দকার এবং শমসের মবিন চৌধুরী।

শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকারের যোগদানের মধ্য দিয়ে তৃণমূল বিএনপি নতুন করে তাদের অস্তিত্ব জানান দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রয়াত বিএনপি নেতা নাজমুল হুদার হাতে গড়া এই দলটির মহাসচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন যে, শুধুমাত্র এই দুজন নয়, অনেক বিএনপি নেতাই তৃণমূলে যোগ দেবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তৃণমূল বিএনপিকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি ভাঙার নতুন দোকান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে এই দোকান শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাবে বলেও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন যে, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ভাঙার একাধিক চেষ্টা করা হবে এটা আমরা জানি। এর আগেও বিএনপিকে ভাঙার জন্য সরকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। ১৬ বছরে বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি। এবারও সেই চেষ্টা সফল হবে না।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, তৃণমূল বিএনপিতে বিএনপির অনেক নেতাই যোগ দিতে পারেন। একাধিক বিএনপির নেতার সঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যারা তারেক জিয়ার দ্বারা নির্যাতিত নিপীড়িত, তারেক জিয়ার নেতৃত্বকে পছন্দ করছেন না, তারেক জিয়ার কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্বকে যারা এক ধরনের দাসত্ব বলে মনে করছেন তারাই তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের বিএনপি করেছিল। তৃণমূলের বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটা সখ্যতা ছিল বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। আর এই তৃণমূল বিএনপি করার প্রধান কারণ ছিল বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা বিএনপিকে বিভক্ত করা।

নির্বাচনের আগে এখন আবার তৃণমূল বিএনপিকে সংগঠিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচনে না যায় তাহলে তারা তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। আবার অনেকেই মনে করছেন যে, বিএনপির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা এই দলটিতে যোগ দেবেন। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ কোনোদিন রাজনৈতিক দল ভাঙার চেষ্টা করে না। 

বিশেষ করে যারা বিএনপিতে নির্বাচনে আগ্রহী তারা এখন তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে এক দফা আন্দোলনের মাঝে বিএনপিতে তৃণমূল বিএনপি নিয়ে এক ধরনের ভাঙ্গনের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

পাঠকের মন্তব্য