এবার একগুচ্ছ মাদ্রাসা নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান সরকার

মাসুদ আজহারের পর এবার হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল পাকিস্তান। সূত্রের খবর, নাকি হাফিজ সইদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইমরান খানের সরকার। জানা যাচ্ছে, মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও শাখা সংগঠন ফালাহ-এ-ইনসানিয়াতের কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেশ কিছু জইশ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানে। যার মধ্যে মাসুদ আজহারের ভাই এবং ছেলেও রয়েছে। এরপরই জামাত-উদ-দাওয়ার উপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার খবর আসে। সংগঠনের অন্তত দুটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি পাক সংবাদপত্র ‘ডন’-এর।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাকোয়াল ও অ্যাটকে জঙ্গি সংগঠনের উপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে চাকোয়ালের তালাগং এলাকার খলিদ বিন ওয়ালিদ মাদ্রাসা, চাকোয়াল রেলওয়ে রোডে দারুস সালাম মাদ্রাসা। এছাড়া অ্যাটকে পিপলস কলোনিতে মসজিদ মুসাব বিন উ্মাইর মাদ্রাসারও দখল নিয়েছে পঞ্জাব প্রদেশের সরকার। এটিতে মাসে মাসে ৬০,০০০ টাকা খরচ হত বলে জানা গিয়েছে। ন্যাসনাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় এইসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবারই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় জঙ্গি হাফিজ সঈদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়াকে৷ একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জামাত-উদ-দাওয়ার শাখা সংগঠন ফালা-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনকেও৷ মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হাফিজ সঈদ৷

জামাত উদ দাওয়া হল লস্কর-ই-তইবার ফ্রন্টাল সংগঠন। হাফিজ সঈদ লস্কর-ই-তইবার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায় এই জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তানে বসে সেই হামলার গোটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরির নেতৃত্ব ছিলেন হাফিজ সঈদ।

এর আগে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরেই হাফিদ সঈদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জে। পরে ২০১২ সালে হাফিজকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে আমেরিকা। পাকিস্তানের ওই জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতারের জন্য ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। সেই সময় চাপে পড়ে হাফিজ ও তার সংগঠনকে ‘ওয়াচ লিস্টে’ রাখতে বাধ্য হয়েছিল ইসলামাবাদ৷

পাঠকের মন্তব্য