এবার জাকির নায়েকের খুব ঘনিষ্ঠ কাদরি'কে গ্রেফতার

টাকা পাচার এবং ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল আবদুল কাদির নাজমুদ্দিন সাথক নামের এক ব্যক্তিকে। যার বিরুদ্ধে মধ্য প্রাচ্য থেকে ভারতে বেআইনি উপায়ে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। আরও বড় বিষয় হচ্ছে এই ব্যক্তি জাকির নায়েকের খুব ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত।

গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে ফেরেনি ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক। তার বিরুদ্ধে সমাজে বিভেদ ছাড়ানো এবং জঙ্গিবাদে মদত দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ ছিল। ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং পিস টিভির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য প্রচার করতো জাকির। সেই চ্যানেলের মাধ্যমে সম্প্রচারিত জাকিরের বক্তব্য হিংসায় ইন্ধন জোগাত এবং রাজাধানী ঢাকার গুলশনে হামলাকারী জঙ্গিরা জাকিরে বক্তব্য শুনেই অনুপ্রাণীত হয়েছিল বলে অভিযোগ।

সেই সময় থেকেই আর দেশে ফেরেনি জাকির নায়েক। বর্তমানে সে ইন্দোনেশিয়াতে রয়েছে। ওই দেশের প্রশাসন তার পাশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ভারতে তার বিরুদ্ধে অঠা অভিযোগের তদন্তে নামে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তদন্তে নেমেই জাকির ঘনিষ্ঠ এবং পিস টিভির এক ডিরেক্টর আমিত গাজদার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এবার সেই তালিকাতেই যুক্ত হয়েছে আরও একটি নাম, আবদুল কাদির নাজমুদ্দিন সাথক। যাকে শুক্রবার এনফোর্স্মেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি গ্রেফতার করেছে।

ইডি-র পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে ধৃত আবদুল কাদির নাজমুদ্দিন সাথক জাকির খুবই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। মধ্য প্রচ্যে তার একটি সম্প্রচার সংস্থা রয়েছে। যেখান থেকে জাকিরের পিস টিভি পরিচালক সংস্থায় নিয়মিত টাকা পাঠান হতো। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে সেই পাঠানো টাকার মোট পরিমাণ প্রায় ৭৯ কোটি টাকা। দুই সংস্থার মাধ্যমেই ভারত সহ বিভিন দেশে উসকানিমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতো।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, পিস টিভি-তে কোনও বিজ্ঞাপন দেখানো হতো না। কিন্তু চ্যানেল চলতো। আবদুল কাদির নাজমুদ্দিন সাথকের সংস্থা থেকে পিস টিভি পরিচালক সংস্থাকে টাকা দেওয়া হয়েছে এবং তা দেখানো হয়েছে বাণিজ্যিক লেনদেন হিসেবে। কেন এই বাণিজ্যিক লেনদেন হয়েছে ? বা এর লেনদেনের ফলে কোনও সংস্থার কী লাভ বা ক্ষতি হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি আবদুল কাদির নাজমুদ্দিন সাথক। সেই কারণেই জাকির ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।

পাঠকের মন্তব্য