সিরিয়ায় ‘ইসলামিক স্টেটের’ পতন, দাবি কুর্দি'র

মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বাহিনী জানিয়েছে যে সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেটের’ সর্বশেষ ঘাঁটিটিরও পতন ঘটেছে৷ কুর্দি সেনারা এই জয়কে আখ্যা দিয়েছে ‘এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে৷

দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতাব্দীতে যার উত্থান, সেই বিখ্যাত ‘আলেপ্পোর দুর্গ’-এর সর্বত্র যুদ্ধের স্পষ্ট ছাপ দেখা যাচ্ছে৷ দুর্গের বিভিন্ন অংশ ধুলোয় মিশে গেলেও শিগগিরই তা পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে৷ উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকেই এই দুর্গের নাম ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে৷

এসডিএফ-এর মুখপাত্র মুস্তফা বালি টুইটারে এই বিজয় ঘোষণা করেন : বাঘিয়ুজ মুক্ত করা হয়েছে৷ দায়েসের বিরুদ্ধে সামরিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে, লিখেছেন তিনি৷ আরবি ভাষায় আইএসকে দায়েস বলা হয়৷ এসডিএফ জানিয়েছে তথাকথিত খেলাফত পুরোপুরি শেষ করে দেয়া হয়েছে এবং আঞ্চলিকভাবে আইএস শতভাগ পরাজিত হয়েছে৷ বিজয়ের পর আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার শহিদের কথাও স্মরণ করেছেন তিনি৷

আইএস-এর ‘মতাদর্শ এখনো রয়ে গেছে'

তবে খেলাফতের পতন ঘটলেও আইএস-এর মতাদর্শ এখনো রয়ে গেছে বলে মনে করেন এসডিএফ-এর বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান আব্দেল করিম উমর৷ জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সামরিকভাবে দায়েশের পতন ঘটিয়েছি৷ তাদের খেলাফত শেষ হয়ে গেছে৷ তবে, দায়েশের ‘স্লিপিং সেল' এখনো আছে এবং যে অঞ্চল তারা দীর্ঘদিন শাসন করেছিল, সেখানে তাদের মতাদর্শ এখনো রয়ে গেছে৷''

এদিকে, এসডিএফ শতভাগ বিজয় ঘোষণার পরও বাঘিয়ুজে এখনো বিমান হামলা এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সিরিয়া এবং কুর্দি বিষয়ক বিশ্লেষক মোটলু সিভিরোঘলু৷ তিনি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও টুইটও করেছেন৷

উল্লেখ্য, আইএস শুরুতে আল-কায়েদার একটি অংশ হিসেবে কাজ করলেও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তা বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা একটি জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ২০১৪ সালে সেটি সিরিয়া এবং ইরাকে বেশকিছু অংশ দখল করে নিয়ে নিজস্ব খেলাফত ঘোষণা করে৷ পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটি৷ তবে ২০১৭ সাল থেকে তাদের পতন শুরু হয় যা শনিবার চূড়ান্ত রূপ পেল৷

পাঠকের মন্তব্য