শব্দের বিড়ম্বনা নিঃশব্দ স্পর্শসুখে ব্যাঘাত ঘটায়

শব্দের বিড়ম্বনা নিঃশব্দ স্পর্শসুখে ব্যাঘাত ঘটায়
দীর্ঘদিনের প্রেম। ভালবাসা, বিশ্বাস, বোঝাপড়া, কোনও কিছুরই অভাব নেই। তবু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে উষ্ণতা চরম পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে না। সঙ্গমের তৃপ্তিতে খামতি থেকে যাচ্ছে। শারীরিক ও মানসিক ত্রুটি খুঁজতে চিকিৎসকের কাছে গিয়েও সমস্যা শনাক্ত হচ্ছে না। আসলে কোনও সমস্যাই নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র পাঁচটা কথাই আপনার শয্যা-মুহূর্তকে চরম পূর্ণতা দিতে পারে।
আপনি হয়তো ভাবছেন শব্দের কী প্রয়োজন? আপনার স্পর্শই শয্যাসঙ্গীর কাছে ভাষা হয়ে পৌঁছে যাবে। বরং শব্দের বিড়ম্বনা নিঃশব্দ স্পর্শসুখে ব্যাঘাত ঘটাবে না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মৃদু উচ্চারণের পাঁচটি বক্তব্য আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে পরিপূর্ণ যৌনতৃপ্তি দিতে পারে।
লন্ডনের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আদরের মুহূর্তে শয্যাসঙ্গীর পছন্দের প্রসংশা করুন। তাঁর পোশাকের রং বা ধরন, পারফিউম যে তাঁর প্রতি আপনার আকর্ষণ বাড়িয়েছে, প্রথমেই তা বুঝিয়ে দিন। তাঁর স্পর্শের তারিফ করতে বা তার শরীরের বিভিন্ন বাঁকে স্পর্শসুখ ব্যক্ত করতে ‘ওহ ডিয়ার গড’-এর মতো কিছু শব্দও ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ কোনও মুহূর্তে তাঁকে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না যে তাঁর সেই যৌন আবেদন আপনি কতটা ভালবাসেন। আপনার শয্যা-সঙ্গীর শরীরের সঙ্গে এমন কারওর তুলনা করুন যার শরীরী আবেদন ‘মিথ’ হয়ে রয়েছে। আবেগঘন ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে প্রত্যেকে এমনই কিছু শুনতে ভালবাসেন।
তবে কোনও কথাটাই যেন সংলাপ মুখস্থের মতো কৃত্রিমভাবে বলবেন না। এমনটাই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রতিটা কথার সঙ্গে যে আবেগ মিশে থাকে। মৃদু স্বর, আবেগের মূর্ছনা ও আদরে ভরা শব্দগুলি শয্যাসঙ্গীকে স্পর্শ করতে পারলেই যৌন সম্পর্কের তৃপ্তিও পরিপূর্ণতা পাবে। আর তা তখনই সম্ভব হবে যখন সঙ্গীর প্রতি ভালবাসা, বিশ্বাস, সম্মান অটুট থাকবে। সবার শেষে সুন্দর এক মুহূর্ত, বিছানার সঙ্গসুখ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। শেষের এই ধন্যবাদ জ্ঞাপনই পরেরবার কাছে আসার অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে।
পাঠকের মন্তব্য