মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা বেড়ে ২২ থেকে ২৭ জন

ভারতে মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা বেড়ে ২২ থেকে ২৭

ভারতে মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা বেড়ে ২২ থেকে ২৭

সংসদে বাড়ল মুসলিম সাংসদদের সংখ্যা৷ ষোড়শ লোকসভায় সংসদে মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা ছিল ২২৷ এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৭ জন৷ এর জন্য বিরোধীদেরই কৃতিত্ব প্রাপ্য৷

এই ২৭ জন মুসলিম প্রতিনিধিদের মধ্যে ২৫ জনই বিরোধী শিবিরের৷ এনডিএ শিবির থেকে মাত্র দুই জন সাংসদ যোগ হওয়ায় সংখ্যাটা গিয়ে ২৭ এ দাঁড়িয়েছে৷ এই দুই জনের মধ্যে আছেন বাংলার সৌমিত্র খাঁ৷ যিনি লোকসভা ভোটের আগে আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান এবং বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন৷ অপর জন হলেন মেহবুব আলি কাইজার৷ ইনি অবশ্য রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি দলের সাংসদ৷ বিহারের খাগাড়িয়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হন৷

সাধারণত মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেয় না ধরেই রাজনীতির হিসাব কষা হয়৷ আর মুসলিম ভোট পাবে না জেনে সেই মতো অংক কষে বিজেপি৷ এবার পশ্চিমবঙ্গে মোট ছয় জন মুসলিমকে টিকিট দেওয়া হয়৷ সৌমিত্র খাঁ ছাড়া সকলেই হেরে যান৷ কেউ কেউ তৃতীয় স্থানে নেমে আসেন৷ যেমন মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থী হুমায়ুন কবীর ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন৷ অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে একই হাল৷ এমনকী কাশ্মীরেও বিজেপির মুসলিম প্রার্থীরা সেরকম ছাপ ফেলতে পারেননি৷

বিরোধী দলের মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসই সবথেকে বেশি মুসলিমদের প্রার্থী করে৷ এই দুই দল থেকে পাঁচ জন মুসলিম এবার সাংসদ নির্বাচিত হন৷ সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে তিনজন মুসলিম জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন৷ ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশ থেকে ৬ জন মুসলিম সাংসদ হন৷ অথচ গত লোকসভা ভোটে দেশের সবথেকে বড় রাজ্য থেকে একজনও মুসলিম জনপ্রতিনিধি সংসদে ছিল না৷

২০১৪ সালে সংসদে মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা ছিল সবথেকে কম৷ তখন সংসদে মুসলিম জনপ্রতিনিধি ছিলেন মাত্র ২২ জন৷ ২০০৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৩৷ সংসদের ইতিহাসে আজ অবধি মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা ৫০এর চৌকাঠও পেরোয়নি৷ তবে ১৯৮০ সালে একদম দোরগোড়ায় পৌছতে পেরেছিল৷ সেই বছর মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা ছিল ৪৯৷

পাঠকের মন্তব্য